কাতার বিশ্বকাপের খরচ বাংলাদেশের তিন বছরের বাজেটের সমান
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২২, ০৫:২৯

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল। বিশ্বকাপ ফুটবল মানেই বাড়তি উত্তেজনা আর উন্মাদনা। ৩২টি দেশের অংশগ্রহনে মাসব্যপী ৬৪ টি টান টান উত্তেজনা। এরপর বিজয়ী নির্ধারণ।
২০২২ সালের এই আসর ফিফার ২২তম বিশ্বকাপ । আয়োজক দেশ কাতারের ৫টি শহরের ৮টি মাঠে অনুষ্ঠিত হবে খেলা।
এদিকে, বিশ্বকাপকে ঘিরে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে মরিয়া কাতার সরকার। তবে প্রশ্ন হচ্ছে এত বড় আসরের আয়োজন করে কতটা লাভভান হচ্ছে কাতার? চলছে এর পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেব নিকাশ।
আশা করা হচ্ছে, বিশ্বকাপকে ঘিরে কমপক্ষে ১৫ লাখ মানুষের সমাগম হবে। তাই এই সময়টা অর্থনতৈকিভাবে লাভবান হওয়ার আশা করছে দেশটি।
এপর্যন্ত সবচেয়ে ব্যয়বহুল কাতার বিশ্বকাপ। প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে যা বাংলাদেশের তিন বছরের বাজেটের সমান। বিশ্বকাপে ব্যবহৃত ৮টি স্টেডিয়াম এর মধ্যে ৭টি একদম নতুন। বাকি ১টি স্টেডিয়ামও সংস্কার করা হয়েছে। যা নতুন করে নির্মাণের চেয়ে কোন অংশে কম নয় ।
কাতার বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম শীতকালীন আসর । সাধারণত বিশ্বকাপ আয়োজন করা হয় জুন জুলাই মাসে। সে সময় কাতারের তাপমাত্রা থাকে প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাই শীতকালে এ আয়োজন। কাতারে এখন তাপমাত্রা ২০থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস । তাই তাদের সব গুলো স্টেডিয়ামই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ।
আয়োজকদের দিক থেকে এটি যেমন ব্যায়বহুল বিশ্বকাপ, দর্শকদের দিক থেকেও অনেক বেশি খরচ সাপেক্ষ । কারণ ব্রান্ড নিউ স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে অনেক বেশি দামে টিকেট কাটতে হবে। উদ্বোধনী ম্যাচ এর টিকেট এর মূল্য ছিল প্রায় ৪০ হাজার টাকা ।
এরআগে, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ব্রাজিল ও রাশিয়া বিশ্বকাপ আয়োজনে খরচ হয়েছিল ১৫ বিলিয়ন ডলারের কম। ২০১০ সালে কাতারকে যখন ২০২২ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তখন সম্ভাব্য খরচ ধরা হয়েছিল ৬৫ বিলিয়ন ডলার।
শেষ পর্যন্ত সেটি কত হয়েছে সেই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। তবে বেশ কয়েকটি হিসাব বলছে, মোট খরচ ২০০ বিলিয়ন ডলার পেরিয়ে যাবে।
জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২০ নভেম্বর পর্দা উঠেছে কাতার ফুটবল বিশ্বকাপের। আর ফাইনাল খেলার মধ্য দিয়ে ১৮ ডিসেম্বর শেষ হবে এবারের বহুল আলোচিত-সমালোচিত এই আসর ।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।