বাংলাদেশের ইতিহাস গড়া হলো না

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ১১ জুন ২০২৪, ১৩:০৩

ছবি: সংগৃহীত

খেলায় যে ভাগ্যটাও পাশে থাকা লাগে তার তরতাজা সাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাত্র ৪ রানে হেরেছে তারা। 

নিউ ইয়র্কে ১১৪ রানের লো স্কোরের বিপরীতে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে তুলতে পেরেছে মাত্র ১০৯ রান! বাংলাদেশ যে কয়টি রানের জন্য হার দেখেছে, সেটা তারা অনায়াসেই পেতে পারতো। দুর্ভাগ্য সেটা হয়নি বিতর্কিত এক আম্পায়ারিংয়ে। ঘটনাটা মূলত ১৭তম ওভারের। মাহমুদউল্লাহ ১৫ রানে স্ট্রাইকে ছিলেন। তখনই বার্টমানের বোলিংয়ে তাকে এলবিডাব্লিউ ঘোষণা করেন আম্পায়ার স্যাম নোগাসকি। আম্পায়ার আঙুলে তুলে দেওয়ার মুহূর্তেই বলটা মাহমুদউল্লাহর প্যাডে লেগে চলে যায় ফাইন লেগ।

নাসাও কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। যেখানে বোলাররা প্রোটিয়াদের ৬ উইকেটে ১১৩ রানে আটকে দিলেও হতাশ করেন ব্যাটাররা। ১০৯ রানে শেষ হয় টাইগারদের ইনিংস, ৪ রানের আক্ষেপে পুড়ে বাংলাদেশ।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খুব করেই চেষ্টা করেছিলেন, ২ বলে ছয় রানের সমীকরণ মেলাতে জোরের সাথেই ব্যাটটা হাকিয়েছিলেন। তবে এরপর যা হলো, মাহমুদউল্লাহর মাথায় হাত দেয়া বিস্ফোরক চোখই বলে দেয় সেই গল্প। তীরে এসে তরী ডুবার ব্যথা হয়তো এমনই হয়!

১১৪ রানের ছোট লক্ষ্যটা বড় হয়ে উঠে যখন ৫০ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। আজও হতাশ করে টপ অর্ডার, সাকিব-শান্ত-লিটনরা ভাঙতে পারেননি ব্যর্থতার বেড়াজাল। একের পর এক ফেরেন হতাশা উপহার দিয়ে।

জেতার জন্য শেষ ৬ বলে বাংলাদেশের ১১ রান প্রয়োজন ছিল। বল করতে আসেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার কেশব মহারাজ। মাহমুদুল্লা এবং রিশাদ হোসেনকে সেই রান করতে দেননি তিনি। মহারাজের পঞ্চম বলে আউট হয়ে যান মাহমুদুল্লা। তাতে বাংলাদেশের জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু বাংলাদেশ চার রানে হারায় সমাজমাধ্যমে ওই ডেড বল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। কারণ ওই চার রান পেলে বাংলাদেশ ম্যাচটিকে সুপার ওভারে নিয়ে যেতে পারত। জেতার সুযোগ থাকত বাংলাদেশের কাছে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top