মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

গর্ব করি বলি আই নোয়াখাইল্যা

আন্নেরা কী জানেন- পশ্চিমবঙ্গে নোয়াখাইল্যাগো একখান সমিতি আছে?

রাজীব রায়হান | প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৮:২০

ছবি: সংগৃহীত

ঐতিহাসিক নোয়াখালী সম্মিলনী, কলকাতা ১১৯ তম মিলন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গেল রোববার (১৬ই ফেব্রুয়ারি) ফিয়ারলি জেটি গঙ্গা বক্ষে বাতাসি জলযানে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ধীরাজ মোহন চন্দ্র মিলন।

এক অনবদ্য সুন্দর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে সম্মিলনী অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অনেক নোয়াখালি প্রেমী। অনেকে পুরানো দিনের নোয়াখালীর স্মৃতি স্মরণ করে আবেগে ভাসেন। নদী বক্ষে ভ্রমন, সঙ্গে গান বাজনা এবং খাওয়া দাওয়া সব মিলিয়ে ছিল এক দারুন আয়োজন। মিলন উৎসব ছিল জাঁকজমকপূর্ণ। কালচারাল প্রোগ্রাম ছিলো মনোমুগ্ধকর।

মিলন উৎসবে যাদের সম্মাননা দেওয়া হয়, তারা হলেন- সভাপতি ধীরাজ মোহন চন্দ্র, প্রয়াত সভাপতি অজিত রঞ্জন চৌধূরী, সম্পাদক অধ্যাপক মনোজ রায় ভৌমিক, কার্যকরী সভাপতি শ্রী রাখল মজুমদার, সমাজসেবক সুশীল কুমার চৌধুরী, সমাজসেবী শ্রী লোকনাথ ভৌমিক, সুশীল কুমার পাল, এডভোকেট কার্তিক দাস, শ্রী রন্ তোস মজুমদার, চন্ডি দত্ত, তমালিকা মজুমদার, চিনু রানি দাস, মলিনা সাহা দত্ত।

উৎসবে একটা স্মরণীয় দিন কেটেছে সবার। যারা কালচারাল প্রোগ্রামে, গানে ও আবৃ্ত্তিতে অংশ নিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেছেন, তাদেরকে সংগঠনের উদ্যোগে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

উৎসবে আগতরা তাদের অনুভূতি জানান। বলেন, দারুণ সুন্দর সময় কেটেছে। এমন উৎসব অসাধারণ, মনে রাখার মতো। 

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাটানগরে নোয়াখালী সম্মিলনী। বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের নোয়াখালী থেকে ভারতে চলে আসা পরিবারদের প্রাণের সমিতি হলো নোয়াখালী সম্মিলনী।

প্রতিবছর নোয়াখালী সম্মিলনীর উদ্যোগে আয়োজিত হয় মিলনমেলা। দেশভাগের মাধ্যমে জমি ভাগ করা যায়। কিন্তু যেই এক টুকরো দেশ, দুই বাংলার বিভক্ত বাঙালির শয়নে-স্বপনে-মননে বসবাস করে, সেই দেশের ভাগ নাই, সেই দেশের মরণ নাই।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top