গাজা নিয়ে ট্রাম্পের প্রস্তাব জাতিসংঘে অনুমোদন, গঠন হবে আন্তর্জাতিক বাহিনী
নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০৭
গাজা যুদ্ধের ইতি টানতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনার খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। প্রস্তাবে ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স’ (আইএসএফ) নামে একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের প্রস্তাব রয়েছে, যেখানে একাধিক দেশ অংশগ্রহণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টির মধ্যে ১৩টি দেশ—যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, সোমালিয়া সহ—পক্ষে ভোট দিয়েছে, কোনো দেশ বিরোধিতা করেনি, আর রাশিয়া ও চীন ভোটে বিরত থেকেছে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, আইএসএফ ইসরায়েল ও মিশরের পাশাপাশি একটি নতুন প্রশিক্ষিত ফিলিস্তিনি পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে কাজ করবে। এর লক্ষ্য হলো সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং হামাসসহ অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে স্থায়ীভাবে নিরস্ত্র করা। দুই বছরের যুদ্ধের পর গাজার পুনর্গঠন হবে বিশ্বব্যাংক সমর্থিত একটি ট্রাস্ট ফান্ড থেকে। এছাড়াও, ‘বোর্ড অফ পিস’ (বিওপি) নামে একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনিক কাঠামো গঠিত হবে, যা ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটিক কমিটির তত্ত্বাবধানে পুনর্গঠন ও মানবিক সহায়তা তদারকি করবে।
রাশিয়া ও চীন প্রস্তাবের কাঠামো অস্পষ্ট এবং জাতিসংঘের সরাসরি অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা নেই বলে সমালোচনা করেছে। অপরদিকে, হামাস প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেছে, এটি ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও দাবির প্রতিফলন ঘটায়নি এবং আন্তর্জাতিক বাহিনী গাজার ওপর অভিভাবকত্ব চাপাবে। হামাসের মতে, আন্তর্জাতিক বাহিনী নিরপেক্ষ থাকবে না এবং এটি ইসরায়েলের স্বার্থে সংঘাতের পক্ষ নেবে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র প্রস্তাবকে যুদ্ধবিরতি সুসংহত করার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ বলেন, আইএসএফ এলাকা সুরক্ষা, নিরস্ত্রীকরণ, সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস এবং বেসামরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। প্রস্তাব ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের পথ খুলে দেবে এবং রাজনৈতিক সমাধানের দিকে এগোতে সাহায্য করবে।
গাজায় ইসরায়েল–হামাস সংঘাত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর শুরু হয়েছিল। সংঘাতে প্রায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত এবং ২৫১ জিম্মি হয়েছিল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলি অভিযানে ৬৯,৪৮৩-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে।
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।