নেতানিয়াহু প্রেসিডেন্ট হারজগের কাছে ক্ষমা চাইলেন
নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫৯
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন। প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছেন, ক্ষমার আবেদনের জাতীয় ও আইনি গুরুত্ব বিবেচনা করে তারা বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
রোববার (৩০ নভেম্বর) বিবিসি প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
নেতানিয়াহু গত পাঁচ বছর ধরে তিনটি পৃথক দুর্নীতি মামলায় বিচারাধীন আছেন। অভিযোগগুলো ঘুষ গ্রহণ, জালিয়াতি এবং আস্থাভঙ্গের সাথে সম্পর্কিত। তিনি সব অভিযোগই অস্বীকার করে আসছেন। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন,
“আমি চাইলে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ পর্যন্ত দেখতে পারতাম, তবে জাতীয় স্বার্থ অন্যথা দাবি করেছে।”
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে ‘সম্পূর্ণ ক্ষমা’ দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। হারজগ তখন উল্লেখ করেছিলেন, ক্ষমা পেতে হলে আনুষ্ঠানিক আবেদন করতে হবে। রোববার নেতানিয়াহুর চিঠি প্রকাশিত হয়েছে, যদিও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুনির্দিষ্ট সময় এখনও জানানো হয়নি।
নেতানিয়াহু ২০২০ সালে বিচারাধীন অবস্থায় দায়িত্ব পালন করা প্রথম ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী হন। তার বিরুদ্ধে তিনটি প্রধান অভিযোগ রয়েছে:
ধনী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সিগার, শ্যাম্পেনসহ বিভিন্ন উপহার গ্রহণের বিনিময়ে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ।
একটি ইসরায়েলি পত্রিকার প্রচার বাড়াতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইতিবাচক সংবাদ কভারেজ চাওয়া।
বড় একটি টেলিকম কোম্পানির মালিককে নিয়ন্ত্রক সুবিধা দিয়ে নেতানিয়াহুর পক্ষে সংবাদ প্রকাশ নিশ্চিত করা।
বিবিসি জানিয়েছে, নেতানিয়াহু সব অভিযোগকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ‘উইচ হান্ট’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ইসরায়েলের আইন অনুসারে, প্রেসিডেন্ট দণ্ড মওকুফ বা সাজা লঘু করতে পারেন, এমনকি দণ্ড ঘোষণার আগেও ক্ষমা দিতে পারেন যদি জনস্বার্থ বা বিশেষ পরিস্থিতি থাকে।
নেতানিয়াহুর লিকুদ দল ও ডানপন্থিরা সবসময় তাকে ক্ষমার পক্ষে থাকলেও, অনেক নাগরিক—বিশেষত বামপন্থী—এটিকে শক্তিশালী বিচারব্যবস্থা থেকে এক ধাপ পিছিয়ে যাওয়া হিসেবে দেখছেন।
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।