খাদ্যের অভাবে মারা গেল ৬০ হাজারেরও বেশি পেঙ্গুইন
নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৯
আফ্রিকান পেঙ্গুইনের প্রধান খাদ্য সার্ডিন মাছের ঘাটতির কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার উপকূলে ৬০ হাজারের বেশি পেঙ্গুইন মারা গেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই উদ্বেগজনক তথ্য।
গবেষণায় বলা হয়, ২০০৪ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে আফ্রিকান পেঙ্গুইনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রজননস্থল—ডাসেন দ্বীপ এবং রবিন আইল্যান্ড—এ পেঙ্গুইনের সংখ্যা ৯৫ শতাংশেরও বেশি কমে যায়। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মোল্টিং বা পালক পরিবর্তনের সময় পর্যাপ্ত খাদ্য না পাওয়ায় এই মৃত্যুহার প্রকট আকার ধারণ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও অতিরিক্ত মাছ শিকারকে এ বিপর্যয়ের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ওস্ট্রিচ: জার্নাল অব আফ্রিকান ওরনিথোলজি-তে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়, এই ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়; বিভিন্ন জায়গায় একইভাবে আফ্রিকান পেঙ্গুইন কমে যাচ্ছে। ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটারের সেন্টার ফর ইকোলজি অ্যান্ড কনজারভেশনের শিক্ষক ড. রিচার্ড শার্লি জানান, “মোল্টিংয়ের আগে বা পরে পর্যাপ্ত খাদ্য না পেলে তারা উপবাসের সময়টা সহ্য করতে পারে না। অনেক পেঙ্গুইনের মৃত্যু সমুদ্রে হওয়ায় সেগুলো চোখে পড়ে না।”
আফ্রিকান পেঙ্গুইনরা প্রতিবছর প্রায় ২১ দিন স্থলে অবস্থান করে মোল্টিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। এ সময় তারা খেতে পারে না, ফলে আগেই শরীরে পর্যাপ্ত চর্বির মজুদ থাকা জরুরি। সার্ডিন মাছের ঘাটতি এই প্রজাতির জীবনচক্রে ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে।
গবেষণায় আরও বলা হয়, ২০০৪ সালের পর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলে সার্ডিনের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। পানির তাপমাত্রা ও লবণাক্ততার পরিবর্তনের কারণে মাছের ডিম ছাড়ার হার হ্রাস পেলেও মাছ শিকার বেড়েছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে পেঙ্গুইনের খাদ্য নিরাপত্তায়।
২০২৪ সালে আফ্রিকান পেঙ্গুইনকে ‘অতিসংকটাপন্ন’ প্রজাতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে প্রজননক্ষম জোড়ার সংখ্যা ১০ হাজারেরও কম—যা প্রজাতিটির অস্তিত্বকে চরম ঝুঁকিতে ফেলেছে।
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।