বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কেউ কথা রাখেনি

কেটে গেছে স্বাধীনতার একান্ন বছর!

নিজস্ব প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৩:০১

হালুয়াঘাট উপজেলার শাকুয়াই অংশের সাকো

স্বাধীনতার ৫১ বছরেও ময়মনসিংহের ফুলপুরে কংস নদের বড়ইকান্দি ও হালুয়াঘাট উপজেলার শাকুয়াই অংশে নির্মাণ হয়নি একটি ব্রিজ। ফলে দুপারের হাজারো মানুষের পারপারে বর্ষায় ভরসা নৌকা ও শুকনায় ভরসা কাঠের সাঁকো।

এলাকাবাসীর দাবি পুরন না হলেও একদিকে বছরের পর বছর নদী থেকে বালু উত্তোলন করে ফায়দা লুটছে একটি প্রভাবশালী চক্র, অন্যদিকে বর্ষায় নৌকা আর শুকনায় সাঁকো দিয়ে ইজারাদারের হয়েছে পোয়াবারো।

খেয়াঘাট মাঝি শ্যাম দেওয়া বলেন, বছরে ১৬ লাখ টাকায় ঘাটের ইজারা হয়,আমার বেতন ৫৫০ টাকা প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে তিন হাজার মানুষ এ ঘাট দিয়ে খেয়া পারাপার হন। সপ্তাহে দুদিন শাকুয়াই হাট। এ দুদিন অন্তত ৭/৮ হাজার মানুষ পারাপার করেন।৩০ বছর ধরে এ খেয়াঘাটে মাঝি হিসেবে নিয়োজিত আছি। আমার মাঝিগিরির দরকার নাই,দশের উপকারের জন্য আমি এখানে সেতু নির্মাণের দাবি করছি।

আরও পড়ুন: কুমিল্লায় দুই ভারতীয় নাগরিক আটক, ইয়াবা ও গাঁজা উদ্ধার

স্থানীয় এক স্কুল শিক্ষিক আক্ষেপ করে জানান একটি সেতুর জন্য কয়েক গ্রামের জীবন ও অর্থনীতির চাকা থেমে আছে।বর্ষায় নৌকা আর শুকনায় সাঁকোয় চলাচল করতে হচ্ছে নদীর দুপাড়ের কয়েক হাজার মানুষকে। জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসের পাহাড় জমলেও হয়নি সেতু নির্মান।

শাকুয়াই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ইউনুস আলী জানান, সেতু তৈরি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটবে।’

এলজিইডির ময়মনসিংহ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান বলেন, ফুলপুরের কংশ নদের বড়ইকান্দি শাকুয়াই অংশে সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাব দেওয়া আছে।সেতুটির কথা প্রস্তাবে আছে,আমরা মন্ত্রনালয়কে অবগত করেছি।

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top