সিলেটে ফুঁসছে সুরমা-কুশিয়ারা-মনু, বন্যার আশঙ্কা
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১ জুন ২০২৫, ১৪:১৮

ফুঁসছে সুরমা-কুশিয়ারা-মনু। টানা বর্ষণে সিলেট জেলার সব নদীর পানি বাড়ছে। ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি ও সিলেটে এমন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কাও রয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাব ও টানা বৃষ্টিপাতে সিলেটের নদ-নদীগুলো এখন বিপৎসীমার উপরে।
টানা বর্ষণ চলছে সিলেট অঞ্চলজুড়ে। আবার উজানে ভারতের আসাম এবং মেঘালয়েও হচ্ছে ভারি বৃষ্টিপাত। এর পানিও নেমে আসছে। এ অবস্থায় সিলেটের নিম্নাঞ্চলের কিছু কিছু অংশ ডুবে গেছে।
বিভাগের ৭ নদীর ১৫ পয়েন্টে পানি বাড়ার খবর পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে বন্যার শঙ্কাও করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এদিকে, সিলেট আবহাওয়া অফিস শনিবার (৩১ মে) ভোর ৬টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ রেকর্ড করেছে ১৩২ মিলিমিটার। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাত হয়, এসময় ১৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
বৃষ্টিপাতের এই ধারা চলতে থাকলে পাহাড়ি ঢল এবং নদ-নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই সিলেটে বন্যার পূর্বাভাস দিয়ে যাচ্ছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানির কারণে বরাবরই সিলেট অঞ্চল ভেসে যায়। এটা প্রতি বর্ষায়ই হয়। এবারও তাই হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে সিলেটজুড়ে থেমে থেমে বৃষ্টি ঝরছিল। তবে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তার পরিমাণ ছিল প্রায় ২২৯ মিলিমিটার। শুক্রবার রাত আর শনিবার মিলে এ অঞ্চলে চলছিল তুমুল বৃষ্টিপাত, যাকে বলে মুষলধারে বৃষ্টি। এমন বর্ষণে জনজীবনতো অচল হয়েই পড়েছে।
বৃষ্টি কেবল এদিকেই ঝরছে, তা না। ঝরছে উজানে, ভারতের আসাম এবং মেঘালয় রাজ্যে। ভারি না, রীতিমতো অতি ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে সেখানে।
আসাম মেঘালয়ের বৃষ্টির পানি দ্রুত নেমে আসে সুরমা কুশিয়ারা এবং সারি, সারিগোয়াইন, লোভাছাড়ার মতো পাহাড়ি নদী হয়ে। আর তখন দু-কূল ছাপিয়ে পানি ঢুকে পড়ে লোকালয়ে। এখনো বিদিসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও সুরমা-কুশিয়ারা যেভাবে ফুঁসছে, যখন তখন বন্যা দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।