উত্তরাঞ্চল কাঁপছে শীতে, তাপমাত্রা ১১.৮ ডিগ্রি
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫:১৭
হাড়কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে হিমালয়কন্যা খ্যাত দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের জনজীবন। সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা কমতে শুরু করায় এবং ঘন কুয়াশায় জনপদ হয়ে পড়ছে জনশূন্য। গভীর রাতে বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টির ফোঁটার মতো ঝরা কুয়াশা শীত আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।
দিনের মাঝামাঝি সূর্যের দেখা মিললেও রোদে নেই উষ্ণতা। কনকনে শীতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। হিমালয়ের পাদদেশে হওয়ায় প্রতি বছর উত্তরের এই জেলায় শীতের তীব্রতা ভয়াবহ হয়। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। কয়েকদিন ধরেই পঞ্চগড়ে শীত তীব্র হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ছয়টায় পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তবে এর অব্যবহিত ৩ ঘণ্টা পর সকাল নয়টায় তাপমাত্রা আরও কমে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রিতে নেমেছে। এই মৌসুমে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ। এর আগে সোমবার রেকর্ড হয়েছিল ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, মঙ্গলবার ভোরে গত দুইদিনের থেকে অল্প কুয়াশা থাকলেও প্রচণ্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। সকাল আটটার পর সূর্যের আলো দেখা গেলেও কনকনে শীতে নাজেহাল এই জেলার মানুষ। প্রয়োজনের বাইরে অনেকে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তবে শীত উপেক্ষা করে সকালে চা-শ্রমিক, পাথর শ্রমিকসহ বিভিন্ন নিম্ন-আয়ের লোকজনকে জীবিকার তাগিদে কাজে যেতে দেখা গেছে।
কয়েকজন ভ্যানচালক বলেন, এ মৌসুমে মনে হচ্ছে আজকেই বেশি কুয়াশা আর ঠান্ডা। শীতের কারণে সহজে ভ্যানে চড়তে চান না অনেকেই। সকালে বেরিয়েছি, কিন্তু কোনো ভাড়া মারতে পারিনি।
এদিকে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসকরা চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।