ড. ইউনূস- তারেক রহমানের বৈঠক, হাসনাত- সারজিসের প্রতিক্রিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২৫, ১৫:০৮

ছবি: সংগৃহীত

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে হতাশা জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন এই এনসিপি নেতা। এই শীর্ষ দুই ব্যক্তির আলোচনায় নির্বাচনের সময় যেভাবে গুরুত্ব পেয়েছে, অভ্যুত্থান-পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা বিচার ও সংস্কার সেভাবে প্রাধান্য পায়নি। এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

শুক্রবার (১৩ জুন) ফেসবুকে এক পোস্টে হাসনাত লেখেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠককে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখি। জাতীয় ঐক্যমত্যের প্রশ্নে, দেশের স্বার্থে সরকারের সাথে সকল রাজনৈতিক দলের এমন সুসম্পর্কই কাম্য।

কিন্তু হতাশার বিষয় বৈঠকে নির্বাচনের মাস ও তারিখ যেভাবে গুরুত্ব পেয়েছে, অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা বিচার ও সংস্কার সেভাবে প্রাধান্য পায়নি। এই সরকার শুধুমাত্র নির্বাচন দেওয়ার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো রূপ নয় বরং একটি অভ্যুত্থানের উপর দাঁড়িয়ে, দেশের মানুষের অসংখ্য ত্যাগের উপর দাঁড়িয়ে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার কাছে দায়বদ্ধ একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

লন্ডনের সেই বৈঠক নিয়ে শুক্রবার রাতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। পোস্টে তিনি বলেছেন, বৈঠকে নির্বাচনের মাস ও তারিখ যেভাবে গুরুত্ব পেয়েছে অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা বিচার ও সংস্কার সেভাবে প্রাধান্য পায়নি।

জুলাই মাসের মধ্যে জুলাই ঘোষণা পত্র ও জুলাই সনদ, মৌলিক সংস্কার, দৃশ্যমান বিচার এবং নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন নির্বাচনের পূর্বশর্ত।

নির্বাচনের মাস এপ্রিল কিংবা ফেব্রুয়ারি যেটাই হোক না কেন, তার চেয়ে মুখ্য বিষয় হচ্ছে নির্বাচনের পূর্বে জুলাই সনদ, দৃশ্যমান বিচার এবং মৌলিক সংস্কারগুলো হচ্ছে কিনা। অন্যথায় একটা গণঅভ্যুত্থান শুধুমাত্র ক্ষমতা পালাবদলের মাধ্যম হয়ে থাকবে। যে ঐতিহাসিক দায় এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কখনোই এড়াতে পারবে না।

লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক শুরু হয়। বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায় বৈঠকটি শেষ হয়। পরে ওই হোটেলেই যৌথ সংবাদ সম্মেলন হয়।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top