পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীর ড্রেজার মেশিনসহ পাইপ ভাঙচুর
গাইবান্ধা থেকে | প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২১, ২১:২৯
গভীর রাতে পুলিশ পরিচয়ে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে মাটি ভরাটের কাজে ব্যবহৃত একটি ড্রেজার মেশিনসহ পাইপ ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে দেড় লাখ টাকা ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর।
ঘটনাটি ঘটেছে সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের ঘাঘট নদীর জামুডাঙ্গা (পাটনিপাড়া) এলাকায় বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ফুল মিয়ার দাবি, দুর্বৃত্তরা তার ড্রেজার মেশিনসহ অন্তত ৭০টি পাইপ ভাঙচুর করে। এছাড়া ৫টি ড্রামসহ মেশিনের বিভিন্ন সরঞ্জামও ভাঙচুর করেন তারা। এতে তার প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি এবং ক্ষতিপূরণও দাবি করেন।
ফুল মিয়া আরও বলেন, তার বালু উত্তোলনে সমস্যা হলে বাধা দেওয়াসহ প্রশাসনের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে রাতের আঁধারে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে তাকে নি:স্ব করেছে দুর্বৃত্ত চক্রটি। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার কথাও জানান তিনি।
অভিযোগে জানা গেছে, বাড়ি নির্মাণে মাটি ভরাটের জন্য ব্যবসায়ী ফুল মিয়ার একটি ড্রেজার মেশিন ভাড়া করেন স্থানীয় দুলা মিয়া। গত এক সপ্তাহ ধরে ঘাঘট নদীতে ড্রেজার বসিয়ে মাটি ভরাট করছিলেন ফুল মিয়া। কিন্তু বুধবার রাত সোয়া ২টার দিকে ৫-৭ জনের একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলোপাথারি ভাবে ড্রেজার মেশিন ও পাইপ ভাঙচুর করে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, গভীর রাতে ড্রেজার মেশিনে হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। ড্রেজার মেশিন ও পাইপ ভাঙচুরের ঘটনা টের পেয়ে আশপাশের লোকজন বাধা দিতে যায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের ভয়ভীতি দেখায়। ঘটনার সময় নলডাঙ্গা-সাদুল্লাপুর পাকা সড়কে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান দাঁড়িয়ে থাকার কথাও জানান স্থানীয় কয়েকজন।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ রানা জানান, উপজেলাজুড়ে ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন বন্ধে পুলিশ তৎপর রয়েছে। ফুল মিয়ার ড্রেজার বসানোর বিষয়টি তার জানা নেই। তাছাড়া পুলিশের কেউ তার মেশিন ভাঙচুরও করেনি। তবে ফুল মিয়ার অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখাসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এনএফ৭১/আরএইচ/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।