এমপি আদেলুর রহমানের দল ও সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের দাবি
নীলফামারী থেকে আমিরুল হক | প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২১, ২২:২১
নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমানকে অকৃতজ্ঞ ও জনবিচ্ছিন্ন হিসেবে অভিহিত করে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন সম্প্রতি সৈয়দপুরের জাতীয় পাটির দলীয় পদ থেকে পদত্যাগকারী ২১ নেতা।
বৃহস্পতিবার (১৩ মে) রাতে লিখিত এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যদিও আমরা ব্যক্তিগত সমস্যা সংকটের কথা উল্লেখ করে পদত্যাগ করেছি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে জাতীয় পার্টির এমপি আহসান আদেলুর রহমানের সাংগঠনিক ব্যর্থতা, দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ করে পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। যা দলীয় শৃঙ্খলা, শিষ্টাচার বজায় রাখতেই আমরা তা প্রকাশ করিনি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, তিনি নির্বাচিত হওয়ার তিন বছর পরও সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ এলাকায় কোন দৃশ্যমান উন্নয়ন করেননি। বরং তিনি গরীবের হক টিআর, কাবিখা ও ভিজিএফের টাকা ও খাদ্যশস্য আত্মসাত করে ঘৃণিত কাজ করেছেন। তিনি ঐচ্ছিক ফান্ডের টাকাও আত্মসাত করেছেন। আদেল একজন অর্থলোভী মানুষ। বিবৃতিকারীরা দলের সাধারণ সদস্য হিসেবে তাঁর নীলফামারী জেলা কমিটির আহবায়ক ও সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন দলের হাই কমান্ডের কাছে।
বিবৃতিকারী বলেন, আমরা আদেলের দল করিনা। আমরা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি করি। কোন ভুঁইফোর, নাবালক রাজনীতিবিদদের সঙ্গে আমরা নেই। বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার (১২ মে) সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে ওই সংসদ সদস্য সংবাদকর্মীদের কাছে বলেছেন, আমরা নাকি নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারণে পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। যদি এ কথা সত্যি হয়ে থাকে তাহলে সে ব্যর্থতা সাংসদের নিজের। কেননা তিনিই পার্টির নীলফামারী জেলা কমিটির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা।
বিবৃতিকারী হলেন, মো. সিদ্দিকুল আলম, মো. সুরত আলী (বাবু), মো. আলতাফ হোসেন, মো. শফিউল আলম (সুজন), মো. সামসুদ্দিন অরুণ, মো. রাকিব খান, মো. ফয়সাল দিদার দিপু, মো. রওশন মাহানামা, মো. ওবায়দুর রহমান (ভুট্টু), শাহ মোঃ খোরশেদ আলম, মো. মুকুল চৌধুরী, শাহিদা জামান শেফালী, রানু বেগম, শফিকুল ইসলাম সবুজ, রমজান আলী বসুনিয়া, রাইসুল ইসলাম লাকী, মো. আফজাল হোসেন, আমিনুল ইসলাম সবুজ, মো. হায়দার আলী ও পায়েল চৌধুরী।
এনএফ৭১/আরএইচ/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।