ফকিরহাটে অতি জোয়ারের জলে ডুবে গেছে কৃষকের স্বপ্ন !
বাগেরহাট থেকে | প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২১, ২৩:৫৪
শেষ রক্ষা হলো না ফকিরহাটের হতভাগ্য চাষিদের! পূর্ণিমার ভরা কাটালে অতি জোয়ারের লবনাক্ত পানিতে ডুবে গেছে তাদের স্বপ্ন! বাগেরহাটের ফকিরহাটে দশটি গ্রাম ও প্রায় দু’শো মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে জোয়ারে।
ভৈরব আর চিত্রা পাড়ের জনপদে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। বেড়িবাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে কৃষি ফসলের জমি, ভেসে গেছে চিংড়ির ঘের, গ্রীষ্মকালীন সবজি সহ ফসলি জমি। লবণ পানির কারণে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
ইয়াস পরবর্তী অতি জোয়ারে কোথাও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে, আবার কোথাও ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে মানুষের দুর্ভোগ। অনাবৃষ্টির ক্ষতির পর আবার রূপালি চিংড়ির খনি খ্যাত ফকিরহাটের মুলঘর ও নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের ঘের তলিয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার মানুষের বুকচাপা আর্তনাদের আকাশ ভারী হয়ে উঠেছে।
শুক্রবার (২৮ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, ফকিরহাটে সদ্য খননকৃত ভৈরবের উপচে পড়া জোয়ারের পানিতে নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের সম্মুখ রাস্তাটি তলিয়ে গেছে। এখানে নলধা, দোহাজারি, জয়পুর গ্রাম সহ মৌভোগের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ভৈরব তীরের বেড়ীবাঁধের মাটি দিনে রাতে স্বার্থান্বেষী কুচক্রীমহল কর্তৃক নিজ কাজে সরিয়ে নেবার ফলে ভৈরবের পানি সরাসরি জনপদে ঢুকে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
মুলঘর ইউনিয়নেও ভৈরবের জোয়ার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জোয়ারের পানিতে সোনাখালি সুইচগেট মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। চলাচলের রাস্তার মাটি খালে চলে গেছে। রাজপাট এলাকায় হুহু করে ঢুকছে জোয়ারের পানি।
এদিকে ফলতিতা-বেনেখালি-গোয়ালবাড়ী এলাকায় অসংখ্য মাছের ঘের ডুবে গেছে। চিত্রা পাড়ের পুটিয়া-গুড়গুড়িয়ার বেড়ীবাঁধ ভেঙে বাড়িঘর তলিয়ে যাবার পাশাপাশি মাছের ঘের সহ প্লাবিত হয়েছে পুরো এলাকা। ডুংগার গেট থেকে গোদাড়া গেট পর্যন্ত গোটা জনপদ পানিতে তলিয়ে আছে।
পানিতে নিমজ্জিত ও ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন দাশ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা বেগম। এসময় উপজেলা মূলঘর ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. হিটলার গোলদার উপস্থিত ছিলেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার আশ্বাস প্রদান করা হয়।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: বাগেরহাট
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।