মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১

ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করায় শিক্ষার্থীর কারাদণ্ড

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২৪, ১৬:৫৫

ছবি: সংগৃহীত

ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী (সাময়িক বহিষ্কৃত) তিথি সরকারকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার (১৩ মে) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী তিথি সরকারের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

২০২০ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে আবু মুসা রিফাত নামে এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেন। ১৬ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেন তিনি। যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।

২০২০ সালের ৩১ অক্টোবর সিআইডির সাইবার মনিটরিং টিম দেখতে পায়, সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ের চারতলা থেকে তিথি সরকারকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে’ বলে একটি মিথ্যা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা হয়। সেসময় এটি ব্যাপক আলোড়ন তোলে। প্রকৃতপক্ষে সিআইডিতে এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনার তদন্তে নেমে গুজব রটনাকারী নিরঞ্জন বড়াল নামের একজনকে রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। নিরঞ্জনসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে একই বছর ২ নভেম্বর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়। ২০২১ সালের ১৯ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান তাদের দুজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০২০ সালের ১১ নভেম্বর নরসিংদীতে তিথীর স্বামী শিপলু মল্লিকের দূর-সম্পর্কীয় চাচা দেবাশীষ রায়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

তিথি সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের একজন শিক্ষার্থী। আসামি তিথি সরকার বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের (জ.বি) শাখার দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার কারণে তাকে সংগঠন থেকে বরখাস্ত করা হয়।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top