কনস্টেবল কাউসার ৭ দিনের রিমান্ডে

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ৯ জুন ২০২৪, ১৮:৫৩

ছবি: সংগৃহীত

সহকর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য কাউসার আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (৯ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহাম্মদ রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

এদিন কাউসারকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

শনিবার (৮ জুন) দিবাগত রাতে কনস্টেবল কাওসার আলীর গুলিতে নিহত হন কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

এ ঘটনায় সাজ্জাদ হোসেন নামে জাপান দূতাবাসের এক গাড়ি চালক আহত হয়েছেন। তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলায় কাউসার আলীকে আসামি করা হয়েছে।

ডিএমপির সদর দফতরে ব্রিফিংয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মহিদ উদ্দিন বলেন, বারিধারায় সহকর্মী মনিরুল ইসলামকে কাওসার ৮ থেকে ৯ রাউন্ড গুলি করে হত্যা করেন। 

 মহিদ উদ্দিন বলেন, এটা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, দুই জনের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে তর্কের কারণে এমনটা হয়েছে। সাময়িক উত্তেজনার কারণে হয়েছে বলে ধারণা করছি। তবে সুনিশ্চিত করে জানাতে তদন্ত চলছে।

 পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, কাওসার ও মনিরুলের মধ্যে ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ ছিল না। কাওসার বেশ নিয়মতান্ত্রিক ছিলেন। তিনি মানসিকভাবে স্ট্রেসড ছিলেন। প্রায় ৮ থেকে ৯ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েন কাওসার। তিনি জানেন না কীভাবে হয়ে গেল এমনটা। তবে এ ঘটনায় তিনি অনুতপ্ত।

মামলার সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৮ জুন) রাত পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ ওঠে আরেক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। নিহত পুলিশ সদস্য ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি ডিভিশনে কর্মরত ছিলেন। নিহত মনিরুল ইসলামের বাড়ি নেত্রকোনায়। তার তিন বছরের একটি সন্তান রয়েছে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top