২০ লাখ টাকার গাঁজাসহ দুই ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২৪, ১৬:৫৯

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর নিয়ামতপুরে অভিযান চালিয়ে ১০১ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল। এসময় একটি কাভার্ট ভ্যান জব্দ করা হয়। শনিবার (৮ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার সান্তোষপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সান্তোষপাড়া গ্রামের নাজির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে টুয়েল মন্ডল ও বাহ্মমবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রুপসদী (পশ্চিম) এলাকার মোহন মিয়ার ছেলে সুমন বাপ্পি (৩৫)। উদ্ধার গাঁজার আনুমানিক মূল্য ২০ লাখ ২০ হাজার টাকার।

রোববার (৯ জুন) দুপুরে ডিবি কার্য়ালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) গাজিউর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে গাজিউর রহমান জানান- গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ জানতে পারে চন্দননগর ইউনিয়নের সান্তোষপাড়া গ্রামে মোকলেছার নামে এক ব্যাক্তির পুকুরের আশেপাশে একটি কাভার্ট ভ্যানযোগে গাঁজা পরিবহন করে হস্তান্তর করা হবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ছাতড়া বাজার থেকে সান্তোষপাড়া গামী পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ১০ থেকে ১২ জন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় সুমন বাপ্পি ও টুয়েল মন্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে কাভার্ট ভ্যান তল্লাশী করা হলে ৪টি পাটের বস্তা থেকে ৩৪ পোটলায় উক্ত পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লাখ ২০ হাজার টাকা।

তিনি আরো জানান- প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেন গাঁজার চালানটি কুমিল্লা থেকে নওগাঁর ছাতড়া এলাকায় বিক্রয়ের জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এর সাথে আর কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি পলাতক আসামীদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাশমত আলীসহ ডিবি পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ সুপার রাশিদুল হকের দিক নির্দেশনায় পুরো অভিযানটি পরিচালনা করেন পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমানের নেতৃত্বে ওসি হাশমত আলীসহ ডিবি পুলিশের একদল চৌকষ সদস্য। 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top