যেকোন সময়ের তুলনায় এখন উগ্রবাদে বিশ্বাসীদের সংখ্যা বেশি : মনিরুল ইসলাম
ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২২:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় বর্তমানে উগ্রবাদে বিশ্বাসী লোকের সংখ্যা বেশি। তবে, যোগ্য নেতৃত্ব, লজিস্টিক সাপোর্ট এবং পরিবেশের অভাবে তারা মনে মনে উগ্রবাদ লালন করলেও সক্রিয় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সিটিটিসি এবং ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্র্যাব) এর যৌথ উদ্যোগে সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী দিনে তিনি এসব কথা বলেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি, লালবাহিনী ও সর্বহারা পার্টিসহ দেশে বাম ধারার বিভিন্ন সংগঠন উগ্রপন্থা তথা সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিলো।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, স্বাধীনতার পর তরুণদের অনেকে বামপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়েছিলো। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বামপন্থা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় অনেকে।
তিনি বলেন, জেএমবি, হরকাতুল জিহাদ ও আনসার আল ইসলামের মতো দলগুলো ইসলাম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে উগ্রপন্থাকে বেছে নিয়েছে। আর জামায়াতে ইসলাম ও খেলাফত আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গণতান্ত্রিক উপায়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় লিপ্ত।
তিনি বলেন, তরুণদের জঙ্গিবাদ থেকে ফেরানোর ক্ষেত্রে রাজনীতিকদের ব্যর্থতা রয়েছে। বর্তমানে দেশে জঙ্গিবাদ পুরোপুরি শেষ না হলেও তাদের বড় ধরণের কিছু করার সক্ষমতা নেই।
জঙ্গি দমনে নানা সফলতার পাশাপাশি বেশকিছু দুর্বলতার কথাও তুলে ধরেন সিটিটিসি প্রধান। তিনি বলেন, দেশে এখনো পর্যন্ত ফরমাল কোন কাউন্টার টেরোরিজম স্ট্রাটেজি নেই। একইসাথে ২৪ শতাংশ জঙ্গি তাদের কার্যক্রম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচালনা করে। কিন্তু টেলিগ্রাম এবং টুইটার থেকে তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো ক্ষমতাধর দেশগুলো চাইলে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে যেকোন তথ্য যেকোনো সময় পেয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষে তা সম্ভব না। এটি জঙ্গি দমনের দূর্বল একটি দিক।
এনএফ৭১/এমকে/২০২০
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।