আনিসুল হকের তিন ব্যাংকে ২১ কোটি টাকার সন্ধান
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:০৫
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ১৬টি ব্যাংক হিসাবের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। হিসাবগুলোতে প্রায় ২১ কোটি টাকা জমা রয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক। এসব হিসাব ইতোমধ্যে ফ্রিজ করা হয়েছে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আনিসুল হকের হিসাবগুলোর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক বনানী শাখার ৬টি হিসাবে ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে ৫ কোটি টাকা এবং অন্য এক হিসাবে এসসি গোল্ডেন বেনিফিটস হিসেবে ৫০ লাখ ৮১ হাজার টাকার তথ্য পেয়েছে দুদক।
এ বিষয়ে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। বর্তমানে নথিপত্র সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে। দুদকের অনুসন্ধান টিম প্রতিবেদন দাখিল করলে আইন অনুযায়ী কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
ব্র্যাক ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, আনিসুল হকের গোল্ডেন ফিক্সড ডিপোজিট (হিসাব নম্বর-১৫০৭৩০১৫২৮৮২৪০০৬) ১ কোটি টাকা, হিসাব নম্বর-১৫০৭৩০১৫২৮৮২৪০০৫, হিসাব নম্বর-১৫০৭৩০১৫২৮৮২৪০০৩ এবং হিসাব নম্বর-১৫০৭৩০১৫২৮৮২৪০০৪ এর গোল্ডেন ফিক্স ডিপোজিট হিসাবে ১ কোটি টাকা করে মোট তিন কোটি টাকা জমা পাওয়া গেছে।
আর ব্র্যাক ব্যাংকের বানানী শাখায় হিসাব নম্বর-১৫০৭৩০১৫২৮৮২৪০০১ এ এসবিএ এসিসি গোল্ডেন বেনিফিটস ৫০ লাখ ৮১ হাজার ৬৯৭ টাকা, হিসাব নম্বর-১৫০৭৩০১৫২৮৮২৪০০১ এর ফিক্সড ডিপোজিট প্লাসে রয়েছে ৫০ লাখ টাকা ও হিসাব নং-১৫০৭৩০১৫২৮৮২৪০০২ এ ফিক্সড ডিপোজিট প্লাস ৫০ লাখ টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে সিটিজেন ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের ৯ ব্যাংক হিসাবে মিলেছে ১৫ কোটি ১১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। ওই টাকা নিজ ও নিকট আত্মীয়দের নামে ব্যাংকে ডিপোজিট হিসেবে পাওয়া গেছে। ওই ব্যাংকগুলো সূত্রে জানা যায়, সিটিজেন ব্যাংকের গুলশান শাখার ৫টি ব্যাংক হিসাবে আশেকুছ সামাদ ও জেবুন্নেছা বেগম হকের নামের ৯ কোটি কোটি ৮৭ লাখ ৫২ হাজার ১১২ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট পাওয়া গেছে। যারা সম্পর্কে তার ভাই-বোন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় আনিসুল হকের তিনটি ব্যাংক হিসাবে যথাক্রমে ৪ কোটি ১৩ লাখ ১৩ হাজার, ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ও ৮৪ লাখ ২৮ হাজার টাকার জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে তিনটি ব্যাংকে আনিসুল হক ও তার পরিবারের নামের প্রায় ২১ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।