রুনা লায়লার জন্মদিন আজ

নিউজফ্ল্যাশ৭১ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২১, ০৫:০০

রুনা লায়লা

উপমহাদেশের অন্যতম কিংবদন্তি শিল্পী রুনা লায়লার জন্মদিন আজ। বৈচিত্রময় আর মনমাতানো গানে গানে কয়েক দশক ধরে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই কণ্ঠশিল্পী বিলিয়ে এসেছেন নানান রঙের অনুভূতি।

১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। বাবার নাম সৈয়দ মোহাম্মদ ইমদাদ আলী ও মা আমিনা লায়লা। বাবার চাকরির সূত্রে রুনা লায়লার শৈশব এবং কৈশোরের কিছু সময় তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে কেটেছে। মাত্র ৬ বছর বয়সে প্রথম মঞ্চে গান পরিবেশন করেন রুনা লায়লা। তাঁর প্রথম গান প্রকাশিত হয় ১৯৬৪ সালে। অল্প বয়স থেকে স্টেজে সংগীত পরিবেশনের পাশাপাশি করাচি রেডিওতে গান গেয়ে পরিচিতি লাভ করেন তিনি।

লোকজ, পপ, রক, গজল, আধুনিক- সব ধাঁচের গানই গেয়েছেন তিনি। বাংলা, হিন্দি, উর্দু, ইংরেজিসহ ১৮টি ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। এ পর্যন্ত গানের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। ১৯৭৪ সালের শুরুতে প্রয়াত সত্য সাহার সুরে ‘জীবন সাথী’ ছবিতে গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক করেন তিনি। গানের কথা ছিল ‘ও জীবন সাথী তুমি আমার’। এ গানে তার সঙ্গে কণ্ঠ দেন খন্দকার ফারুক আহমেদ।

১৯৬৭ সালে পাকিস্তানি চলচ্চিত্রে ‘দাইয়ারে দাইয়ারে দাইয়া’ গানটি গেয়ে ব্যাপক প্রশংসা পান রুনা লায়লা। ১৯৬৮ সালে ঢাকার সুরকার সুবল দাস রুনা লায়লাকে দিয়ে প্রথম ‘স্বরলিপি’ চলচ্চিত্রে গান গাওয়ান। এছাড়া কল্যাণজি-আনন্দজির সুরে হিন্দি ছবি ‘এক সে বারকার এক’-এর টাইটেল সঙের প্লেব্যাক ছিল তার প্রথম হিন্দি গান। এছাড়া ‘দমাদম মাস্ত কালান্দার’-এর কথা সবারই জানা- যার জন্য ভারতে তার নাম হয়েছিল ‘দামদাম গার্ল’। তার গাওয়া অন্যান্য হিন্দি গানের মধ্যে আছে ‘দে দে পেয়ার দে’, ‘আও সুনলো’, ‘মেরা বাবু ছেল ছাবিলা’ ইত্যাদি।

বাংলাদেশে ৭ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার, ভারতের সায়গল পুরস্কার, পাকিস্তানে দুইবার নিগার পুরস্কার, দুইবার গ্র্যাজুয়েট পুরস্কার, সমালোচক পুরস্কার ও জাতীয় সংগীত পরিষদ স্বর্ণপদকসহ দেশ-বিদেশের নানা পুরস্কার অর্জন করেছেন রুনা লায়লা। সেই সাথে সুরকার নিসার বাজমির ১০টি করে তিন দিনে মোট ৩০টি গান রেকর্ডের পর রুনা লায়লা নাম লেখান গিনেস বুকে।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top