শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১

‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটির সৃষ্টি যেভাবে

নিউজফ্ল্যাশ৭১ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ২০:০৬

ফাইল ছবি

আলতাফ মাহমুদের নতুন সুরে ঐতিহাসিক একুশের গানটির পরিবেশনের সময়কাল নিয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। কেউ কেউ বলেন, ’৫৩ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে গানটির পুরনো সুর পাল্টে আলতাফ মাহমুদ নতুন সুরারোপে মনোনিবেশ করেন। ১৯৫৪ সালে নতুন সুরে নিজেই গানটি পরিবেশন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে।

ইতিহাসকে সামনে রেখে সে সময়ের কথা বলতে গিয়ে লেখক খোন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস এভাবে লেখেন, ‘আব্দুল লতিফের সুরটি মন্দ ছিল না। কিন্তু কিসের যেন অভাব ছিল তাতে। আলতাফ মাহমুদের নতুন সুরে জনতার কর্ণে যেন মধু ঢেলে দিল। কী ভীষণ মাদকতা, কী ভয়ঙ্কর আকর্ষণ সে সুরের! গানের এক একটি কলি তার কণ্ঠে ধ্বনিত হলেই শ্রোতা যে অবস্থায় এবং যেখানেই থাকুক নিজের মন নিজের কাছে ধরে রাখতে পারেন না।’

জানা গেছে, এই গানের সুর নিয়ে আব্দুল লতিফ রাগ করেননি; বরঞ্চ আলতাফ মাহমুদের সুরের প্রশংসা করে নিজের আরোপিত সুরটি প্রত্যাহার করেন। যা কালের গর্ভে বিলীন। বহু অনুসন্ধান করেও আব্দুল লতিফের সুরের সন্ধান পাওয়া যায়নি। আলতাফ মাহমুদ ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী’ কবিতায় কালাতীত ধ্রুপদী সুরারোপের পর আব্দুল গাফফার চৌধুরী রচিত কবিতাটি বাংলাদেশে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

প্রথমদিকে আলতাফ মাহমুদ নিজেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পুরো কবিতাটি গেয়ে পরিবেশন করতেন। এরপর দু-তিনবার নিজের সুরকে সামান্য পরিবর্তন করেন। যতদূর জানা যায়, তৃতীয় সুর করার পর বাংলাদেশের গণসংগীতের দুই দিকপাল শেখ লুতফর রহমান এবং আব্দুল লতিফের কাছে গিয়েছিলেন মতামত জানবার জন্য। তারা দু’জনে আলতাফ মাহমুদের সুরকরা গানকে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে মতামত দিয়েছিলেন।

বর্তমানে যে সুরে এই গানটি পরিবেশন করা হয়, তা তৃতীয় মডিফিকেশনের ফল। শুধু যে গানের সুর পরিবর্তন করেছেন, তা নয়; কবিতাটির শেষের ছয়টি চরণও বাদ দিয়েছেন। তবে তিনি আব্দুল গাফফার চৌধুরীর অনুমতি নিয়ে বাদ দিয়েছিলেন। একুশের গানের লেখক শহীদ আলতাফ মাহমুদের কন্যা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
 এবং সহযোগিত শহীদ আলতাফ মাহমুদ ফাউন্ডেশন ।

 এনএফ৭১/ফামি/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top