বছরে ২ কোটি টনের বেশি খাবার নষ্ট হয় দেশে: ফরিদা আখতার
নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:১৯

রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন, বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ টন খাবার নষ্ট ও অপচয় হয়। কৃষকের খামার থেকে ভোক্তার টেবিলে পৌঁছানো পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে সংরক্ষণ সংকট, দাম নির্ধারণ সমস্যা ও অবকাঠামোগত ঘাটতির কারণে এ বিপুল পরিমাণ খাদ্য নষ্ট হচ্ছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘খাদ্যের অপচয় রোধের মাধ্যমে টেকসই খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলা’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য তুলে ধরেন।
ফরিদা আখতার বলেন, দুধ, ডিম, মাংস ও মাছের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। ন্যায্য দাম না পাওয়ায় কৃষকেরা দুধ ও আলু ফেলে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। চান্দিনায় কৃষকদের দুধ নষ্ট করে ফেলতে দেখেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ইলিশসহ নির্দিষ্ট কিছু মাছ ধরতে গিয়ে বিপুল পরিমাণে অন্যান্য মাছ ফেলে দেওয়া হয়। প্রতিটি নৌযান যে পরিমাণ মাছ ধরে, তার দুই-তৃতীয়াংশই আবার সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হয়। এতে জীববৈচিত্র্য ও সম্পদের বড় ক্ষতি হচ্ছে। সঠিক বাজার খুঁজে বের করা গেলে জেলেরা লাভবান হতে পারতেন বলে জানান তিনি।
বিশ্বব্যাংক ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) মূল্যায়ন তুলে ধরে ফরিদা আখতার বলেন, দেশে এখনও প্রায় ১ কোটি ৫৫ লাখ থেকে ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অথচ দেশের অন্য প্রান্তে অতিভোজনও হচ্ছে। এই বাস্তবতায় খাদ্য অপচয় ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সম্মেলনের সূচনা বক্তব্যে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, গত পাঁচ দশকে দেশের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হলেও অপুষ্টি ও খাদ্য বৈষম্য রয়ে গেছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে খাদ্য অপচয় রোধ এখন জরুরি।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন—
-
বাংলাদেশে ডেনমার্ক দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আন্দের্স কার্লসেন
-
খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ দিয়া সানু
-
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর জেসি উড
-
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইয়াসিন
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।