বার্ষিক উপার্জন শুনলে চোখ কপালে উঠবে!!

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২০ মে ২০২১, ২০:১৪

ছবি:  সংগৃহীত

‘ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়।’ আজকের যুগে দাঁড়িয়ে এই প্রবাদ বাক্যটি যে কতখানি সত্যি তা বুঝিয়ে দিয়েছেন কিশোর ইন্দুকুড়ি।আকাশছোঁয়া স্বপ্নের চাকরি, আকর্ষণীয় বেতন যাবতীয় ভোগ-বিলাসিতা ছেঁড়ে মনোনিবেশ করেছিলেন ব্যবসায়। ব্যবসা করে আজ তিনি যা উপার্জন করছেন তা যেকোনও বাঁধাধরা চাকরির বেতনের থেকেও কয়েকশো গুণ বেশি। যা শুনলে চোখ কপালে উঠবে আপনার।

মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান কিশোর ইন্দুকুড়ি। আইআইটি খড়গপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য চলে আমেরিকা। সেখানে গিয়ে শেষ করেন পলিমার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা।

মার্কিন মুলুকে পিএইচডি শেষ করার পর সেখানেই ইন্টেলকোম্পানিতে মোটা বেতনের চাকরি পান কিশোর। দিব্যি কাটছিল দিনগুলো। কিন্তু নিজের পেশার প্রতি হয়ত সন্তুষ্ট হতে পারেননি কিশোর। যার কারণে ছয় বছর বিদেশে চাকরি করার পরও সেই চাকরি ছেড়ে ফিরে আসেন নিজের দেশে। তারপর যা হয়েছিল শুনলে চোখ কপালে উঠবে আপনার।

২০১২ সালে দেশে তথা নিজের রাজ্য হায়দরাবাদে ফিরেই কৃষিকাজে মন দেন কিশোর ইন্দুকুড়ি। চাষবাস, মাঠের কাজ বেশ ভালোই লাগত তাঁর। আর এই ভালো লাগা থেকে একটু একটু করে শুরু করলেব ডেয়ারি শিল্প নিয়ে গবেষণা।

গবেষণা চলাকালীন সময়ে কিশোর উপলদ্ধি করে যে, হায়দরাবাদের মতো শহরে ভালো স্বাস্থ্যকর খাবার দুধের জোগান খুবই সীমিত। ফলে তিনি শুধু নিজের পরিবারের জন্যই নয় সারা হায়দরাবাদবাসীর জন্য স্বল্প মূল্যে ভালো পরিস্কার পরিছন্ন ভাবে পুষ্টিকর দুধ পৌঁছে দিতে কাজ শুরু করেন।

খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি হায়দরাবাদে নিজের একটি ডেয়ারি শিল্পের ব্র‍্যান্ড খুলে ফেলেন। ব্যবসা শুরু করার জন্য কোয়েম্বাটুর থেকে ২০ টি গরুও কিনে এনেছিলেন। তারপর আর কোনও দিন পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি কিশোরকে।

যদিও তিনি সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিতে তাঁর ব্যবসা শুরু করেছিলেন এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর গ্রাহক সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১২ সালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তার এই ব্যবসাকে ‘সিড’স  ফার্ম’ হিসাবে পরিচালনা করেন।

আজ, তিনি প্রতিদিন ১০,০০০ জনেরও বেশি গ্রাহকদের কাছে দুধ সরবরাহ করেন এবং তাঁর এই কাজে সহায়তার জন্য ১২০ জনেরও বেশি কর্মচারী রয়েছেন। শুধু তাই নয়, এই ডেয়ারি শিল্পের ব্যবসায় গত বছরে তাঁর বার্ষিক উপার্জন ৪৪ কোটি টাকা ছিল বলে জানিয়েছেন কিশোর ইন্দুকুড়ি। শুধু দুধ সরবরাহ নয়,গরু ও মোষের দুধ থেকে তৈরি ঘি, ছানা, পনির, দই প্রভৃতি জিনিসও তৈরি হয় তাঁর ফার্মে। আর এই করোনা পরিস্থিতিতেও বন্ধ নেই কিশোরের ফার্ম। কঠিন এই সময়েও গ্রাহকের কাছে দুধ পৌঁছে দিচ্ছে তাঁর সিড’স ফার্ম।

এনএফ৭১/ফামি/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top