বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১

ফল খাওয়া কখন শরীরের জন্য ভালো?

নিশি রহমান | প্রকাশিত: ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৫:৩৭

ছবি: সংগৃহীত

ফল কখন খাবেন এ নিয়ে নানা জনের নানা মত আছে। কেউ বলছেন, খালি পেটে পানি আর ভরা পেটে ফল খেতে হয়। আবার কেউ বলেন, সন্ধ্যার আগে ফল খেয়ে নেওয়া উচিত। গবেষণা বলছে, মানে যতই ভালো হোক না কেন, ফলের পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে ফল খেতে হবে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে। তবেই ফলে থাকা ভিটামিন, প্রোটিন এবং খনিজ শরীরের উপকারে আসবে। সকাল বেলা খালি পেটে স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপকারী  একটি ফল খাওয়া। যেহেতু পেট খালি, তাই ফলটির পুষ্টি  শরীরে গ্রহণে সহায়তা করবে।

আরও পড়ুন>>> এক নজরে দেখে নিন রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর উপায়

কিন্তু যাদের পাকস্থলীতে আলসার কিংবা বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা আছে তাদের সকালে খালি পেটে ফল খাওয়া উচিত নয়। আবার শিশু, বৃদ্ধ বা যাদের পাকস্থলি দুর্বল তাদের এই অভ্যাস এড়াতে হবে। কারণ, কমলাজাতীয় ফল, আনারস, আঙুর ইত্যাদিতে থাকে অ্যাসিডিক অ্যাসিড, যা গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের উৎপাদন বাড়ায় এবং আলসার ও বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা বাড়তে পারে। ফল খাওয়ার কিছু নিয়ম নিচে দেওয় হল_____

যে ফল খেতে হবে অল্প: মিষ্টিজাতীয় উপাদান আছে এমন ফল যেমন- বেদানা, আম, আঙুর, লিচু, তরমুজ ইত্যাদি পরিমাণ মতো খেতে হবে। বিশেষ করে যাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি হওয়ার সমস্যা রয়েছে তাদের। এ সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য আদর্শ ফলগুলো হলো- পেঁপে, আনারস, পাম, রাসবেরি, নাসপাতি, স্ট্রবেরি, পিচ ও আপেল।

দুই বেলা খাওয়ার মাঝে ফল খাওয়া: নাস্তা হিসেবে ফল খাওয়া বিপাক ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। তাই যেকোনো দুই বেলার খাওয়ার মাঝে ফল খাওয়া খুবই ভালো। তাছাড়াও  রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে ফল। আর স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খেলে শরীরে যেমন চর্বি জমবে না, তেমনি ক্ষুধাবোধও কম হবে।

ঘুমানোর আগে যে ফল খেতে হবে: ঘুমানোর আগে আপেল, কলা, কিউই, চেরি খেতে পারেন। কারণ, এতে প্রাকৃতিক ‘সেরোটনিন’, ‘মেলাটনিন’ ও ‘ট্রিপ্টোফান’ নামক উপাদান যা শরীর ও মনকে শান্ত করে এবং রাতের ঘুম ভালো হতে সহায়তা করে। আম, আঙুর ইত্যাদি ফল ঘুমানোর আগে এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ, এগুলো মস্তিষ্ককে সচল রাখে এবং ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

ফল খাওয়ার ভুল সময়: খাওয়ার পর ফল খাওয়া কখনো উচিত নয়। খাওয়ার পর ফল খাওয়া হজমে এবং ক্যালরি ভাঙতে সাহায্য করে, যা ঠিক নয়। কারণ, ফলে রয়েছে নিজস্ব মিষ্টিজাতীয় উপাদান ও ক্যালরি এতে শুধু ক্যালরির পরিমাণ বাড়ায়।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top