নদী রক্ষায় হাইকোর্টের নতুন বার্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২২, ২০:৪৯
পরিবেশের অন্যতম উপাদান হচ্ছে নদী। এই নদীকে রক্ষা করতে সরকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। হার্ড লাইনে গিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে হাইকোর্টে বিভিন্ন সময় রুল জারি করেছে। এবারও এর ব্যতিক্রম করেনি। নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার সন্যাসীপাড়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মহাদেও নদী রক্ষায় রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
সোমবার (১৩ জুন) এ রুল দেয় বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
নদীর বর্তমান কী অবস্থা তা জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রুলে নদীর পাশের ফসলি জমি, স্থানীয় বাজার, বসতবাড়ি, বাগান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও গাছপালা রক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতাকে কেন আইনবহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে মহাদেও নদী, নদীর প্রতিবেশ ব্যবস্থা ও সংশ্লিষ্ট গ্রামবাসীর সম্পদের যে ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করে দায়ী ব্যক্তিদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
ভূমি সচিব, পরিবেশ সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, ময়মনসিংহ জেলার বিভাগীয় কমিশনার, নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তরের নেত্রকোনার সহকারী পরিচালক ও কলমাকান্দা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা আবেদনে এ রুল জারি করা হয়।
আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মিনহাজুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরীর দাবি, মহাদেও নদী ভারতের মেঘালয় পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এই মহাদেও নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে বালু ও পাথর উত্তোলন করছেন ইজারাদাররা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মহাদেও নদী ও এর প্রতিবেশ ব্যবস্থা। ক্রমেই বিলীন হচ্ছে নদীর পার। সেই সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছিল মহাদেও নদীর অস্তিত্ব।
বিষয়: হাইকোর্ট
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।