দুই দশকের বেশি পুরোনো মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২২, ০২:১৭
সাক্ষী হাজির না হওয়া, বিচার কার্যক্রমের ওপর উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ, অহেতুক শুনানি মুলতুবির আবেদন, বিচারক সংকটসহ নানা কারণে মামলা নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিচারপ্রার্থী জনগণ। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বিচার বিভাগের। সেই ক্ষুণ্ণ হওয়া ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট সুপ্রিম কোর্ট মনিটরিং কমিটি। এ কারণে দুই দশকের বেশি সময় ধরে অধস্তন আদালতে বিচারের জন্য পড়ে থাকা ৫ হাজার ৮৬১টি মামলা নিষ্পত্তির জন্য সময় বেঁধে দিয়েছেন তারা। চলতি বছরের পহেলা ডিসেম্বরের মধ্যে এসব মামলা অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিষ্পত্তি করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে এই তালিকার মামলার মধ্যে যেসব মামলার বিচার কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ রয়েছে সেগুলো অনিষ্পন্ন রাখতে বলা হয়েছে। স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলেই তখন এসব মামলার বিচার শেষ করা সম্ভব হবে।
এদিকে দেশের অধস্তন প্রতিটি দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলার প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণের নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। কিন্তু এখনো সেই তালিকা চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সূত্র জানিয়েছেন, অধস্তন আদালতের অনেক বিচারকই তালিকা এখনো প্রেরণ করতে পারেনি। যার কারণে বিচারাধীন মামলার পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রধান বিচারপতি দায়িত্ব গ্রহণের পরই বিচারাধীন মামলার প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণের নির্দেশ দেন। মামলার নথি গণনাপূর্বক এই সংখ্যা নির্ধারণ করতে বলা হয়েছিল। এছাড়া পুলিশ বা অন্য কোনো তদন্তকারী সংস্থার নিকট তদন্তাধীন মামলার প্রকৃত সংখ্যা পৃথকভাবে নির্ধারণ করে পাঠানোরও নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি।
বিচার বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই তালিকা প্রস্তুত হলে বিচারাধীন ও তদন্তাধীন মামলার প্রকৃত সংখ্যা বেরিয়ে আসবে। কারণ তদন্তাধীন মামলার সংখ্যাটা পাওয়া গেলেই দেশের আদালতসমূহে কত মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে তার প্রকৃত চিত্র উঠে আসবে
বিষয়: মামলা নিষ্পত্তি
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।