মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের খবর সম্পর্কে যা বললেন আসিফ নজরুল

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৫ আগষ্ট ২০২৪, ১৬:১৬

ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন পদত্যাগ করার যে খবর নানা মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন অন্তর্র্বতী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেইজে এক পোস্ট দিয়ে তিনি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফেসবুক পোস্টে আসিফ নজরুল বিষয়টি সম্পর্কে লেখেন, ‘আমার নাম ব্যবহার করে কিছু অপপ্রচার হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি রিজাইন (পদত্যাগ) করেছেন বলে যে খবর আমার ছবি ব্যবহার করে প্রচার হচ্ছে- তা ভুয়া।’ এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কয়েকটি পেজ থেকে ছড়ানো হয়, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করেছেন।

ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর ৮ অগাস্ট নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার শপথগ্রহণ করে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার পর অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান।

পরদিন শুক্রবার অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি হয়। তাতে আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল। পরদিন ছাত্র জনতার দাবির মুখে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগের খবর আইন উপদেষ্টাই দিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনার মনোনয়নে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের দ্বাবিংশতম রাষ্ট্রপতি হিসেবে ‘সংবিধানের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তাবিধানের’ শপথ নেন মো. সাহাবুদ্দিন। এর আগে গতকাল বুধবার আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে বিচার বিভাগের সব কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির হিসাব দাখিলের নির্দেশের দেয়ার কথা জানান আইন উপদেষ্টা।

এ সময় তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে সব বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের দেশে-বিদেশে অবস্থিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব বিবরণী আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছি।’

এছাড়া আওয়ামী লীগের শাসনামলে করা বিতর্কিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন বাতিল করার প্রসঙ্গে এ উপদেষ্টা বলেন, ‌‘এটা আমার মন্ত্রণালয়ের বিষয় না। আপনাকে ধন্যবাদ এটা বলার জন্য। আমরা মাত্র কাজ শুরু করলাম। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় ড. ইউনূস স্যারের অধীনে রয়েছে। আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্যারকে এটা বলবো। আমার বিশ্বাস খুব দ্রুত এটা বাতিল করা হবে।’

এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত হওয়া হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) অভিযোগকারী আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তদন্ত সংস্থা বুধবার রাত থেকে তদন্ত শুরু করেছে। এর আগে বুধবার শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত আরিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা মো. বুলবুল কবির।

তার পক্ষে বুধবার দুপুরে সংস্থাটির প্রধান কো-অর্ডিনেটর বরাবর অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম এ আবেদন করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনকে এই অভিযোগে দায়ী করার আর্জি জানানো হয়েছে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top