ঢামেক থেকে আদালতে হাজী সেলিম

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫০

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে ৫ দিন রিমান্ডে নেওয়ার দুইদিন পরই আদালতে হাজির করা হয়। পরে অসুস্থতার বিষয়টি বিবেচনা করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ আদালত।

মহানগর ডিবি কার্যালয়ে রিমান্ডে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মোহাম্মদ সেলিম। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক)। সেখান থেকে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে আবারও আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামান এই আদেশ দেন।

গত ২ সেপ্টম্বর একই আদালত লালবাগ থানার আইডিয়াল কলেজের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় হাজী সেলিমের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড চলা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টা ৪০ মিনিটে হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। রাত পার হতে না হতেই আজ সকালে তাকে আদালতে তোলা হলো।

গত ২ সেপ্টেম্বর রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছিল, ২০২৪ সালের ৫ জুনের পর সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গত ১৪ জুলাই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ সম্বোধন করলে শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদে দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ডাক দেন।

শান্তিপূর্ণ আন্দোলন প্রতিহত করতে এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা শিক্ষার্থীদের নিধনের ঘোষণা দেন। এরই ফলশ্রুতিতে বর্ণিত আসামিদের নির্দেশে গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানীর আজিমপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার সেল, রাবার বুলেট ও গুলি বর্ষণ করে। এতে ইফতি, জুবায়ের, তানভীর, ইসমাইলসহ অনেক ছাত্র-জনতা আহত হন। তাদের মধ্যে বাদীর ছেলে আইডিয়াল কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ গুলিতে মারা যান।

গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর বংশাল থানা এলাকা থেকে হাজী সেলিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top