কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে টিস্যু পেপারে কী লিখে দিলেন দীপু মনি?

রাজীব রায়হান | প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৫:২৩

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনির একটি ঘটনায় পুরো দেশ তোলপার। ২০ জানুয়ারি ২০২৫। সময় তখন সকাল ৯টা ৫ মিনিট। নীল রঙের বড় আকারের একটি প্রিজন ভ্যান হুইসেল বাজিয়ে ঢাকার চিফ ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানার সামনের ফটকে এসে থমকে দাঁড়ায়। প্রিজন ভ্যান থেকে নামেন দীপু মনি। তাঁকে পুলিশের নারী সদস্যরা আদালতের হাজতখানার ভেতর নিয়ে যান।

ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ১০টা। জনাকীর্ণ আদালতে আনিসুল হক, সালমান এফ রহমানসহ অন্যদের দুটি মামলায় রিমান্ড আবেদনের শুনানি চলছিল। এ সময় আসামির কাঠগড়ার দাঁড়িয়ে ছিলেন দীপু মনি। তাঁর সামনে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। তাঁর বাঁ পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন হাসানুল হক ইনু।

একপর্যায়ে ঘটে একটি অস্বাভাবিক ঘটনা। দেখা যায়, দীপু মনির বাঁ হাতে কয়েকটি টিস্যু পেপার। আর ডান হাতে কলম। দীপু মনি টিস্যুর ওপর কিছু লিখতে শুরু করেন।

প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে টিস্যু পেপারের ওপর চিঠি লেখেন দীপু মনি। কাঠগড়ার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আইনজীবীর পোশাক পড়ে থাকা এক ব্যক্তির হাতে চিঠিটি তুলে দেন দীপু মনি। এরপর ওই ব্যক্তি নিজের মুঠোফোনে চিঠির ছবি তোলেন। তিনি টিস্যু পেপার তাঁর বাঁ হাতে ভাঁজ করে রাখেন। চিঠির ছবি তোলার বিষয়টি তিনি আকারে-ইঙ্গিতে দীপু মনিকে জানিয়ে দেন।

আদালতে দেখা যায়, দীপু মনি ওই ব্যক্তির হাতে চিঠি হস্তান্তরের পর তিনি জুনাইদ আহ্‌মদের সঙ্গে কথা বলেন। সালমান এফ রহমানের সঙ্গেও দীপু মনিকে হাসিমুখে কথা বলতে দেখা যায়।

এঘটনায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পিপি ওমর ফারুক ফারুকী গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি জানান, এজলাসকক্ষের যেখানে দাঁড়িয়ে তিনি শুনানি করছিলেন, সেখান থেকে কাঠগড়া কিছুটা দূরে। আদালতে তখন অনেক আইনজীবী ছিলেন। জনাকীর্ণ আদালতে দীপু মনির চিঠি লেখার বিষয়টি তাঁর নজরেই আসেনি।

যদি নজরে আসত, তাহলে অবশ্যই তিনি আদালতের দৃষ্টিতে বিষয়টি আনতেন। কারণ, একজন আসামি আদালতের হেফাজতে থাকেন। আদালতের অনুমতি ছাড়া এখানে তিনি চিঠি লিখতে, হস্তান্তর করতে পারেন না; কিংবা আইনজীবী ব্যতীত অন্য কারও সঙ্গে কথা বলা যায় না।

দীপু মনির আইনজীবী গাজী ফয়সাল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মক্কেল এ ধরনের কোনো চিঠি লিখেছেন কি না, তা তাঁর নজরে আসেনি। কারণ, জনার্কীর্ণ আদালতে তিনি সামনের দিকে অবস্থান করছিলেন। শুনানিতে ব্যস্ত ছিলেন। দীপু মনিকে যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক দুটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top