শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

লায়লাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় এবার কী ফেঁসে যাচ্ছেন প্রিন্স মামুন, বিচার শুরু হলো

রাজীব রায়হান | প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৩:১৫

ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে কন্টেন্ট বানিয়ে বরাবরই আলোচনায় ছিলেন প্রিন্স মামুন ও লায়লা। অসম প্রেম নিয়েও দেশজুড়ে বেশ আলোচনায় ছিলেন তারা। কিন্তু হঠাৎই ঘটে প্রেমের ছন্দপতন। সেই ধারাবাহিকতায় ঘটে আরও অনেক ঘটনা। লায়লা আখতারকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

সেই মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্যে দিয়ে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত আসামির অব্যাহতি আবেদন নাকচ করে এ আদেশ দেন। এদিন আসামি মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এরপর তার আইনজীবী মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে দেন। একই সঙ্গে আদালত অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। আগামী ১ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। এ সময় বাদী লায়লাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করেন লায়লা আখতার ফরহাদ। মামলায় অভিযোগ করা হয়, প্রিন্স মামুনের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় তার।

একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই পরিবারের সম্মতিতে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে লায়লার বিয়ের কথা চূড়ান্ত হয়। তখন থেকে প্রিন্স মামুন লায়লার বারিধারা ডিওএইচএসের বাসায় বাস করতে থাকেন। এর পর থেকে প্রিন্স মামুন বিভিন্ন অজুহাতে লায়লার কাছ থেকে টাকা নিতেন। প্রায় সময়ই মাদকসেবন করে গভীর রাতে বাসায় আসতেন। অশ্লীল ভাষায় কথা বলতেন। এমনকি মাঝেমধ্যে লায়লাকে মারপিট করতেন।

এজাহারে আরো বলা হয়, ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর উত্তরায় একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে বাসায় ফেরেন তারা। এ সময় মামুনসহ আরো দুজন মদপানের জন্য মিরপুরে যাওয়ার পরামর্শ করেন। লায়লা তাকে নিষেধ করেন এবং বাধা দেন। এতে মামুন উত্তেজিত হয়ে লায়লাকে গালি দেন। গালি দিতে নিষেধ করলে মামুন লায়লাকে মারধর করেন ও হত্যার চেষ্টা করেন।

তদন্ত শেষে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ। পরে ওই বছরের ৩ জুন অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। তবে পলাতক থাকায় প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরদিন ৪ জুন মামুন আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top