জেনে নেওয়া যাক, মেছতার কারণ ও করণীয়

নিশি রহমান | প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ২৩:০৪

ছবি: সংগৃহীত

আমাদের যে আবহাওয়া, যে ধরনের লাইফস্টাইল তাতে ছেলে-মেয়ে সবারই মুখের বিভিন্ন ধরনের কালো দাগের সমস্যা আমরা দেখতে পাই। বয়সের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই। মুখের বিভিন্ন ধরনের কালো দাগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যাটা দেখা যায় সেটি হচ্ছে- ব্রণের সমস্যা। তাছাড়া রোদেপোড়া দাগ, ছোট-বড় তিল, ব্রণের দাগ, অ্যালার্জিজনিত কারণে কখনো কখনো কিছু কালো দাগ, তাছাড়া চোখের চারপাশের কালো দাগ ও চোখের নিচের গর্ত। তবে আজকে মূলত জানব মেছতা নিয়ে____

কি এই মেছতা?

এটি একটি বাদামি রঙের দাগ। সাধারণত গালে, নাকের ওপরে, কপালে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়। ত্বকের উপরের অংশে যে মেছতা হয় তাকে এপিডারমাল মেলাজমা বলা হয়। আর ডারমাল মেলাজমা হয় ত্বকের ভেতরের অংশে। এপিডারমাল মেলাজমার চিকিৎসা সহজ তবে ডারমাল মেলাজমার চিকিৎসা একটু জটিল হয়।

আরও পড়ুন>>> চুলের আগা ফাটা দূর করার ঘরোয়া কিছু উপায়

মেছতা হওয়ার কারণ: মেছতার সবচাইতে প্রচলিত কারণ রোদেপোড়া। এছাড়াও জন্মবিরতিকরণ পিল খাওয়ার কারণে হরমোনের প্রভাবে মেছতা হতে পারে। গর্ভাবস্থায় মেছতা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে মেছতা হতে পারে, ডাক্তারি ভাষায় একে বলা ‘মেলাজমা কসমেটিকা’। আর যকৃতের জটিলতার কারণে যে মেছতা হয় তাকে বলা হয় ‘মেলাজমা হেপাটিকা’।

মেছতা হলে করণীয়: মেছতার চিকিৎসা নিয়ে পুরো পৃথিবী জুড়েই তোলপাড়। প্রতিনিয়তই বের হচ্ছে নিত্যনতুন ওষুধ, লোশন, ক্রিম, অয়েন্টমেন্ট ইত্যাদি। তবে মেছতা থেকে মুক্তি পেতে সবচাইতে জরুরি সানস্ক্রিন ব্যবহার করা।

ঘর ছেড়ে যখনই রোদে বের হবেন সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে, নারী-পুরুষ উভয়েরই জন্যই এটি প্রযোজ্য। সানস্ক্রিনের এসপিএফ বা সান প্রটেকশন ফ্যাক্টর ৩০ বাংলাদেশের আবহাওয়ার জন্য উপযুক্ত। তাই কেনার আগে এসপিএফ ৩০ দেখে কিনতে হবে।

আরও পড়ুন>>> যেসব খাবারে বয়স ৩০-৪০ এর পরও ত্বক থাকবে সতেজ

সতর্কতা: মেছতা সারাতে যে কোনো কিছু ব্যবহারের আগে যাচাই বাছাই করে নেওয়া উচিত।কারন, বাজারে মেছতা সারানোর বিভিন্ন প্রসাধনী পাওয়া যায়। এদের মধ্যে কিছু প্রসাধনীতে স্টেরয়েড মেশানো থাকে যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। পাশাপাশি নিজের ত্বকের ধরণ অনুযায়ি প্রসাধনী ব্যবহার করাও জরুরি।”

তবে মেছতায় আক্রান্ত হলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নেওয়া ভালো। আর এই সমস্যা আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ সঠিক চিকিৎসায় মেছতা ভালো হয়।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top