গণতন্ত্র রক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমাগত দুর্বল হয়েছে
গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় প্রত্যাশিত জায়গায় নেই বাংলাদেশ: টিআইবি
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:০২
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে দেশের গণতন্ত্র রক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমাগত দুর্বল হয়েছে বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটির মতে, গত ৫০ বছরেও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় প্রত্যাশিত জায়গায় যেতে পারেনি। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
বৃহস্পতিবার ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন: গণতান্ত্রিক সুশাসনের চ্যালেঞ্জ উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি এসব বক্তব্য তুলে ধরে।
বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতায় তা অর্জন করা যায়নি। গত দুটি সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে একটি দলের একচ্ছত্র ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আগামী সংসদ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলো অংশ না নিলে তার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাবে বলে মন্তব্য করেন ইফতেখারুজ্জামান।
গত দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিরপেক্ষ ছিল না বলে মনে করে সংস্থাটি। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের ভূমিকা নিয়ে রূপরেখা চূড়ান্ত করতে হবে। যে নামেই নির্বাচনকালীন সরকার হোক, তা স্বার্থের দ্বন্দ্বমুক্ত ও নিরপেক্ষ হতে হবে। মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের স্বপদে থেকে নির্বাচন করার বিষয়টি রহিত করতে হবে।
রাজনৈতিক, কারিগরি ও অর্থনৈতিক দিক থেকে ইভিএম ব্যবহারের ঝুঁকির পাশাপাশি সুবিধার চুলচেরা বিশ্লেষণ করা উচিত বলে মনে করেন ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে জনমতের প্রতিফলন হয়নি।
আগামী সংসদ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে যে রূপরেখা ইসি তৈরি করেছে, সেটাকে চূড়ান্ত না বলে খসড়া হিসেবে বিবেচনা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।