পল্লবীতে স্কুলছাত্র মেহেদী হত্যায় দুই ভাইসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২ নভেম্বর ২০২২, ০৪:৫১

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা

রাজধানীর পল্লবী এলাকায় মেহেদী হাসান নামে এক স্কুল ছাত্রকে হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া দুইজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, ফয়সাল, আশিক, রাসেল, ওলি, সাদ্দাম, রাব্বি ওরফে ছটু, ইমরান ও রাশিদ। আর খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, নান্নু মিয়া ও শাহিনুর বেগম।

রায় ঘোষণার সময় ১০ আসামির মধ্যে ৯ জনকে হাজির করা হয়। তাদেরকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবার কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যদিকে পলাতক থাকা এক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি ফারুকুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

মামলার ১০ আসামি হলেন- ফয়সাল, আশিক, রাসেল, ওলি, শাহিনুর বেগম, সাদ্দাম, রাব্বি ওরফে ছটু, নান্নু মিয়া, ইমরান ও রাশিদ।

বিচারক আদেশে বলেন, এটি একটি হত্যা মামলা। যার সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড। তবে আসামিদের বয়স কম হওয়ায় এবং পূর্বে কোনো মামলা না থাকায় মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, মেহেদী হাসানের বাবা হাজি মোশারফ হোসেন ঢালী পল্লবীর নিউ সোসাইটি মার্কেটে থান কাপড়ের ব্যবসা করতেন। ওই এলাকার নান্নু ও শাহিনুর মাদক ব্যবসা করতেন।

ঘটনার আগে স্থানীয় লোকজনসহ মোশরাফ মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করেন। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে আসামিরা ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মোশারফের একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসানকে ডেকে পাশের একটি ভবনে নিয়ে যায়। তার ভাগ্নে অনিক ঘটনাটি দেখতে পেয়ে সবাইকে জানায়।

সংবাদ পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মোশারফ দেখতে পান, মেহেদী অজ্ঞান অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে। চিকিৎসার জন্য তাকে মিরপুর ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় মেহেদীর বাবা মোশারফ হোসেন ১ অক্টোবর পল্লবী থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে মারধর করে হত্যা করেছে।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ১২ জুন ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডির পরিদর্শক মোকছেদুর রহমান। ১৯ সালের ১ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে মামলার বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে আদালত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top