বাংলা সাহিত্যের বরপুত্র হুমায়ূন আহমেদ

নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন আজ

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২২, ০৩:১৮

বাংলা সাহিত্যের বরপুত্র হুমায়ূন আহমেদ

জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৪৮ সালের এই দিনে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন জনপ্রিয় এই কথা সাহিত্যিক।

সাহিত্যজগতে তাঁর শুরুটা ছাত্রজীবনে। সে সময় লেখা উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ পায় বিপুল জনপ্রিয়তা। এরপর কেবলই একের পর এক অর্জনের গল্প।

স্মৃতিচারণ করে তাঁর বন্ধুরা বলেন, হুমায়ূন আহমেদকে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার সাথে তুলনা করলেও হয়তো ভুল হবে না। মানুষকে স্পর্শ করার যাদুকরী ক্ষমতা ছিলো তার। তাই আজও তিনি স্বমহিমায় বিরাজমান তাঁর লেখা, চলচ্চিত্র ও গানে। বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি পাঠকের মনে হুমায়ূন উন্মাদনায়। 

কথা ও শব্দের জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ। বাংলা সাহিত্যের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তাঁর বই, নাটক কিংবা চলচিত্রের ভাষায় কথার জাদুতে মোহিত হননি এমন বাঙালি পাঠক খুব কমই আছেন।

প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জনের পর, তাঁর লেখনীতে উঠে আসে জোছনা ও জননীর গল্প, শঙ্খনীল কারাগার, মধ্যাহ্ন ও মাতাল হাওয়াসহ নন্দিত অনেক গ্রন্থ। সৃষ্টি করেছেন হিমু কিংবা মিসির আলীর মতো জনপ্রিয় সব চরিত্র। যদিও অসময়ে চিরবিদায়ে থেমে যায় তাঁর সৃষ্টি।

হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন বলেন, মানুষের মনের গভীরে প্রবেশ করার অসাধারণ ক্ষমতা ছিলো এই কিংবদন্তির।

নিজের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ দেশ-বিদেশে বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। জাপান টেলিভিশন ‘এনএইচকে’ হুমায়ূন আহমদকে নিয়ে নির্মাণ করে ১৫ মিনিটের তথ্যচিত্র ‘হু ইজ হু ইন এশিয়া’।

২০১২ সালের ১৯ জুলাই চিরবিদায় নেন সৃজনশীলতার নানান ক্ষেত্রে বিচরণ করা এই মানুষটি। ২৪ জুলাই নন্দিত এই লেখকের প্রিয় জায়গা নুহাশ পল্লীতে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

এখনো তাঁর সৃজনকর্ম আন্দোলিত করে কোটি হৃদয়কে। এই অমর কথা সাহিত্যিক নিজের সাহিত্যের মাধ্যমেই কোটি ভক্তের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল।

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top