জাতীয় স্মৃতিসৌধে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, ০৭:৩২
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসকে সামনে রেখে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। স্মৃতিসৌধের ৮৪ একর এলাকা জুড়ে বৃক্ষরাজি ও বাগানের সৌন্দর্যবর্ধন করা হচ্ছে।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সাভার স্মৃতিসৌধে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধোয়ামোছার কাজে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। দম ফেলার ফুসরত নেই সাভার গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও।
দীর্ঘ ২ মাস ধরে বাগান মালিরা মাঠের ঘাস ও গাছের পাতা কেটে ছেঁটে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করছেন। পাশাপাশি ফুলের বাগান ও গাছপালাকে তরতাজা রাখতে নিয়মিত যত্ন নিচ্ছেন পরিচর্যাকারীরা।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে কর্মরত শ্রমিকরা বলছেন, ১৬ ডিসেম্বরের জন্য স্মৃতিসৌধ ঝাড়ু দিচ্ছি, পরিষ্কার করছি। নতুন ফুল গাছ লাগানো হচ্ছে, ঘাস সতেজ রাখার জন্যে পানি দেয়া হচ্ছে। রং ও অন্যান্য কাজও শেষ পর্যায়ে। স্মৃতিসৌধের ভেতরে বিভিন্ন রঙের আলোকবাতি সংযোজনের কাজ চলছে।
সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, লেক সংস্কারসহ সব কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। সাভার স্মৃতিসৌধ রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীসহ লক্ষ লক্ষ জনতার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
পুলিশের উপ-পরিদর্শক আল মামুন কবির বলেন, সব ধরনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য বসানো সিসিটিভি ক্যামেরায় সবকিছু মনিটরিং করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সৌধ এলাকার বাইরে আতশবাজি ও উচ্চস্বরে মাইক বাজানোয় দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো নিরাপত্তা চৌকি।
এদিকে, নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতার জন্য ৮ দিন স্মৃতিসৌধ এলাকায় সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জানানোর পর খুলে দেয়া হবে মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে।
বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বুধবার বাংলাদেশ সফরে এসে প্রথম দিনই সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে নবীনগরে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। আর ১৯৮৮ সালে জাতীয় স্মৃতিসৌধ নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।