বেঁচে ফেরা হলো না আর

আগুন থেকে বাঁচতে ১২ তলা থেকে লাফ দিয়েছিলেন মোহাম্মদ রাজু

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৩:৩১

গুলশানে অগ্নিকাণ্ড

রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের ১০৪ নম্বর রোডে একটি ভবনে আগুন লাগার ঘটনায় মোহাম্মদ রাজু (৩৫) নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বাঁচার জন্য ভবনের ১২তলা থেকে লাফ দিয়েছিলেন। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গতকাল রাত ১০টার দিকে তাকে ঘটনাস্থলের কাছেই একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) তিনি মারা যান। এ নিয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হলো।

মোহাম্মদ রাজুর বাড়ি গাজীপুরের কালীগঞ্জে। তিনি ভবনের ১২তলায় এক কর্মকর্তার বাসায় বাবুর্চির কাজ করতেন। নিহতের ভাই সজীব বলেন, তারা লাশ নিয়ে গ্রামে গেছেন। দাফনের প্রস্তুতি চলছে। মোহাম্মদ রাজু  ঢাকায় থাকতেন। তাঁর পরিবার গ্রামে থাকতেন। ভবনের ১২ তলায় তিনি দুই বছর ধরে কাজ করতেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে।

সোমবার ডিএমপি গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল আহাদ জানান, গুলশানে আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজন মারা গেলেন। গতকাল আনোয়ার নামে একজন এবং আজ রাজু শিকদার নামে আরেকজন মারা গেছেন। আরও দুজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। তারা চিকিৎসা নিয়েছে।

উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, আমরা তাদের (ভবনের বাসিন্দা) বার বার বলেছি লাফ দেবেন না। তারা যদি লাফ না দিতো তাহলে নিহত হতেন না। যারা কষ্ট করে ছিলেন, লাফ দেননি, তাদের আমরা উদ্ধার করতে পেরেছি। তিনি আরও বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

আগুন লাগা ওই ভবনে ২৬ ফ্ল্যাটে ২৩ পরিবার বসবাস করতেন। নারী শিশুসহ ২৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জনই নারী।  এরআগে, গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৫৯ মিনিটের দিকে আগুনের ঘটনা ঘটে। উদ্বারে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধারে যোগ দেন সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও স্বেচ্ছাসেবক সদস্যরাও। প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top