স্বাধীনতার ঘোষক আর পাঠক এক নয়

স্বাধীনতা ঘোষণার একমাত্র বৈধ অধিকার ছিলো বঙ্গবন্ধুর

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৮ মার্চ ২০২৩, ০৫:২০

ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অনেককেই দেশের স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করা হয়; কিন্তু দেশের স্বাধীনতা ঘোষণার একমাত্র বৈধ অধিকার ছিলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। যে ভাষণ ইউনেস্কো পৃথিবীর অন্যতম সেরা ভাষণের স্বীকৃতি দিয়েছে, সেই ভাষণ বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে নিষিদ্ধ করেছিলো। এই দিবসের প্রতি, তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি তাদের ন্যূনতম বিশ্বাস আছে, চেতনা ধারণ করে- সেটা আমরা বিশ্বাস করি না। ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদেন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসের বাঁক পরিবর্তনের এক ঐতিহাসিক মাইলফলক। রেসকোর্স ময়দানে বিশাল জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ স্বাধীনতার ডাক। বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ সে দিনই ছিলো আসলে স্বাধীনতার মূল ঘোষণা। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতারের পর রাত সাড়ে ১২টা যে স্বাধীনতার ঘোষণা সেটা আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু স্বাধীনতার মূল ঘোষণা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণার একমাত্র বৈধ অধিকার ছিলো বঙ্গবন্ধুর। কারণ, তিনি জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। তৎকালীন পূর্ব বাংলায় ১৬৯ আসনের মধ্যে ১৬৭ আসন বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ পেয়েছিলো। কাজেই, স্বাধীনতা ঘোষণার বৈধ অধিকার ছিলো একমাত্র বঙ্গবন্ধুর। অন্য কারো স্বাধীনতার ঘোষণার বৈধ অধিকার ছিলো না। ঘোষক বলে যারা স্বঘোষিত ঘোষক, অনেকেই ছিলেন ঘোষণার পাঠক। পাঠক আর ঘোষক এক কথা না।

আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে’ বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দাবির বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপিই গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। শেখ হাসিনা বরং মেরামত করেছে। রাতারাতি গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে না। দেশে যতটুকু গণতন্ত্র আছে, তা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই হয়েছে। তারা ক্ষমতায় থাকাকালে গণতন্ত্র কিভাবে চর্চা করেছে? যাদের ঘরেই গণতন্ত্র নেই, তারা কিভাবে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top