শিরিন ম্যানশনে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরেকজনের মৃত্যু

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২৩, ২৩:৪৯

শিরিন ম্যানশনে বিস্ফোরণ

ঢাকার সায়েন্স ল্যাবের পাশে মিরপুর রোডের শিরিন ম্যানশনের বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ৯ দিন আগের ওই ঘটনায় এ নিয়ে মোট চারজনের মৃত্যু হল। আহত আরও কয়েকজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতের নাম আয়েশা আক্তার। তিনি শিরিন ম্যানশনের তৃতীয় তলায় ফিনিক্স ইন্সুরেন্সের কর্মী ছিলেন।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান। ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, আয়েশার শরীরে ৩৮ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তার শ্বাসনালীও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। সকালে আইসিইউতে মারা যান তিনি।

মৃত আয়েশার বড় বোন জান্নতুল ফেরদৌস জানান, তাদের বাড়ি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার তারাপল্লা গ্রামে। বাবার নাম আমির হোসেন। বর্তমানে জিগাতলা ট্যানারি মোড়ে থাকতেন। শিরিন ম্যানশনের তৃতীয় তলায় ফিনিক্স ইনস্যুরেন্সের অ্যাডমিনে কর্মরত ছিলেন আয়েশা। ঘটনার সময় সে ওই ভবনের তৃতীয় তলায় অফিসে কাজ করছিলেন।

গত ৫ মার্চ বেলা পৌনে ১১টার দিকে শিরিন ম্যানশনের তৃতীয় তলায় বিকট বিস্ফোরণে পর ভবনের দেয়ালের আংশিক ধসে পরে, ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাশের আরেকটি ভবন। ওই ঘটনায় সেদিনই তিনজনের মৃত্যু হয়, আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন অন্তত ৪০ জন।

ঘটনার পর ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শিরিন ম্যানশনের বিস্ফোরণকে দুর্ঘটনা বলে ধারণা দিয়েছিলেন।

ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, ঢাকা মহানগর পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থা মাঠে নামে। তাদের তদন্তেও এখন পর্যন্ত নাশকতার কোনো আলামত মেলেনি। ঘটনার পর ভবনটিতে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ লেখা সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। পরে ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগে এনে দণ্ডবিধির ৩০৪ (ক) ধারায় একটি মামলা করেছে। তবে কাউকে আসামি করা হয়নি।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top