ব্যালট বা ইভিএমে শতভাগ সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৬ এপ্রিল ২০২৩, ২২:৪৭

প্রধান নির্বাচন কমিশনার

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ইভিএমে বা ব্যালেট শতভাগ সুষ্ঠু ভোট সম্ভব না। ইভিএম বা ব্যালট নির্বাচনে বড় চ্যালেঞ্জ নয়। চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রাজনোইতিক দল গুলোর অংশগ্রহণ। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

সিইসি বলেন, সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক সেই প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত কমিশনের থাকবে। সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। ব্যালটে ভোট করার সিদ্ধান্ত কোনো চাপে নয়। কমিশনের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। ব্যালটের চাইতে ইভিএম নিরাপদ বেশি। কারচুপি বন্ধ করা সহজ।

আগাম নির্বাচনের বিষয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আগাম নির্বাচনের কোনো প্রস্তুতি নেই। রোডম্যাপ অনুযায়ী প্রস্তুতি নেবে কমিশন। ইভিএম থেকে আমরা সরেছি মাত্র সেদিন। এটা নিয়ে কিছু কিছু সংশয় বাজারে দেখা দিয়েছে। সেটি হলো এটা কী চাপে করা হলো, নাকি ওটা করা হলো। এটা নিয়ে আমরা দীর্ঘ সময় আলোচনা করেছি। ইভিএম নিয়ে কোনো একটি দলের আশা ছিল ৩০০টি আসন। সবকিছু শুনে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, ইভিএমে আমরা ১৫০টি আসনে ভোট করব।

সিইসি বলেন, এ জন্য ৯ হাজার কোটি টাকার একটা প্রকল্প দিয়েছিলাম। উদ্ভূত যে পরিস্থিতি যুদ্ধ থেকে, বিশ্বময় যে আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে, ৯ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ১৫০ আসনে নির্বাচন করার যে প্রকল্প নিয়েছিলাম, ২ লাখ নতুন ইউনিট কেনার, সেটাতে সরকার এগ্রি (অনুমোদন না দেওয়া) করতে পারেনি।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা যদি ৮০ থেকে ৯০টা আসনেও নির্বাচন করতে পারি, এ জন্য ১২০০ কোটি টাকার প্রস্তাব পাঠাই। সেখানে বলা ছিল, ৪০ হাজার মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে, বাকি যে ১ লাখ ১০ হাজার আছে, সেগুলো যদি আমরা মেরামত করে নিতে পারি। সেটাও এগ্রি করতে পারেনি সরকার। তখন আমরা দেখলাম ২৫ থেকে ৩৫টি আসনে নির্বাচন করার মতো ইভিএম।

সিইসি বলেন, আমাদের মধ্যেও আমরা দ্বিধাবিভক্ত হলাম। আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আলোচনা করলাম। আমাদের দুজন কমিশনার বললেন, ২৫ থেকে ৩০টা আসনে আমরা নির্বাচন করে ফেলি।আমরা দেখলাম ওদের লাইফটাইম শেষ হয়ে আসবে। একটা অনিশ্চয়তা, দোদুল্যমানতা আমাদের মধ্যে কাজ করেছে। আমি নিজেও তখন এর পক্ষে ছিলাম না। আমরা তাহলে আর ইভিএমেই যাব না। আমাদের আরও দুজন সহকর্মী ইভিএমের পক্ষে থাকেননি। দীর্ঘ সময় আলাপ–আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, এটা সম্পূর্ণভাবে আমাদের সিদ্ধান্ত। বাজারে বলা হয়, এটা কারও চাপে করা হয়েছে কি না। বা বিএনপিকে নির্বাচনে আগ্রহী করার জন্য করা হয়েছে কি না। ওই ধরনের কোনো চিন্তা আমাদের মধ্যে কাজ করেনি।

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top