সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পদ্মা সেতুর এক বছর, দক্ষিণের ভোগান্তিহীন যাত্রা

রাজিউর রেহমান | প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২৩, ০২:৫৫

ছবি: সংগৃহীত

পদ্মা সেতু একটি স্বপ্নের নাম। বিশ্ব দরবারে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াবার সাহস। দেখতে দেখতে এক বছর পার করল স্বপ্নের পদ্মাসেতু। স্বপ্ন এখন বাস্তবে রুপ নিয়েছে আর  আনন্দে ভাসছে পুরো দেশ। এক বছর আগেও ঘন্টার পর ঘন্টা নদীর ঘাটে অপেক্ষা করতে হতো লঞ্চ কিংবা ফেরির জন্য। দুর্ভোগের শেষ ছিলনা সেসময়। ভোগান্তি আর একরাশ ক্লান্তি নিয়ে ফিরতে হতো যাত্রীদের। অপচয় হতো সময়ের। সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু পাল্টে দিয়েছে সব হিসেবনিকেশ। স্বস্তি ফিরেছে যাত্রায়, সময় চলে এসেছে হাতের মুঠোয়।

২০২২ সালের ২৫ জুন। ঠিক এক বছর আগে আজকের এই দিনে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৬ জুন থেকে যান চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করা হয়। এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণের ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানীর সরাসরি যোগাযোগ উন্মোচিত হয়।

পদ্মা সেতু থেকে বছরে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা টোল আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। প্রতি মাসে ১৩৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা টোল আদায়ের লক্ষ্য ছিল। তবে চলতি মাসের ৭ জুন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর টোল আদায় হয়েছে ৭৫৮ কোটি ৮ লাখ ৭৫০ টাকা।

পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের জন্য নেওয়া ঋণের ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ কিস্তির ৬৩২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। নির্মাণ ব্যয়ের প্রায় পুরো অর্থ সেতু কর্তৃপক্ষকে ঋণ হিসেবে দিয়েছে অর্থ বিভাগ।

এদিকে, আগামী সেপ্টেম্বরে ঢাকা থেকে মাওয়া ও ভাঙ্গা যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে। সবমিলিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ইতিহাসে একটি মাইলফলক এই পদ্মা সেতু। যে পদ্মা সেতু একসময় বাঙালির কাছে স্বপ্ন ছিল তা এখন এক গৌরবোজ্জ্বল অহংকার।

বাংলাদেশকে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গেও যুক্ত করেছে পদ্মাসেতু। এইসেতু নিয়ে দেশের স্বপ্ন তাই আকাশচুম্বী। পদ্মা সেতু একদিন ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের অংশ হবে। এই স্বপ্ন হয়তো সত্যি হতে আর বেশি দেরি নেই।

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top