পদ্মাসেতু প্রকল্প প্রশ্নবিদ্ধ করার নেপথ্য উদ্দেশ্য ছিল ব্যাংকের এমডি পদ

নির্দিষ্ট একটি ব্যাংকের এমডি পদ দখলে রাখতে পদ্মাসেতু প্রকল্পকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। তাতে এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে সফল হয়েছে সরকার। মন্ত্রিসভার বৈঠকে একথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১১ জানুয়ারি সোমবার, গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠকের শুরুতে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিল দেশের স্বনামধন্য কিছু মানুষ। নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুসকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী জানান, সামান্য একটি পদের লোভে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখা প্রকল্প বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। এ ধরণের কাজ জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক বলেও আখ্যা দেন প্রধানমন্ত্রী।

এমন ব্যাক্তিদের কর্মকান্ডকে দেশের জন্য আঘাত হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা হতাশ না হয়ে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। ফলে নিজস্ব অর্থায়নেই বাস্তবে রূপ নিয়েছে পদ্মা সেতু।

এ সময় দেশের উন্নয়নে পদ্মাসেতুর অবদান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ তৈরি করবে পদ্মাসেতু। যা জিডিপিকে ২ভাগ বাড়িয়ে দিতে সক্ষম। এমন একটি সম্ভবনাকে বন্ধের ব্যবস্থা নিয়েছিল ষড়যন্ত্রকারীরা। তবে দেশের বিরুদ্ধে এমন আঘাতের কারণে আমরা সচেতন হয়েছি এবং তা প্রতিহত করতে পেরেছি। সফলতার কারণে সারাবিশ্ব এখন সম্মানের চোখে দেখছে বাংলাদেশকে।

চতুর্থবারের মত ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করায় দেশের জনগনের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান প্রধানমন্ত্রী।

মন্ত্রিসভার এ বৈঠকটি ছিল ২০২১ সালের প্রথম বৈঠক।

এনএফ৭১/জুআসা/২০২১