কিস্তিতে সরকারি ফ্ল্যাট কিনতে পারবে সাংবাদিকরা
সব বলার পরও বলবে কথা বলার স্বাধীনতা নাই
রাজিউর রেহমান | প্রকাশিত: ১০ জুলাই ২০২৩, ২০:২৪
সমালোচনা ভালো কিন্তু সেটি গঠনমূলক হাওয়া উচিত। সেই সমালোচনার মধ্য দিয়ে সংশোধনীর সুযোগ থাকতে হবে। অপজিশন (বিরোধী দলগুলো) তো বলবেই। তারা সারাদিন কথা বলে। টকশোতে যা খুশি ইচ্ছামতো বলে যাচ্ছে। সব বলার পরও বলবে কথা বলার স্বাধীনতা নেই। তো স্বাধীনতাটা ছিল কখন। আইয়ুব খান, জিয়াউর রহমান নাকি এরশাদের আমলে ছিল?
সোমবার (১০ জুলাই) অসুস্থ, অসচ্ছল এবং দুর্ঘটনা আহত ও নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ১৪ বছরে দেশের গণমাধ্যম যে স্বাধীনতা পেয়েছে তা আগে কখনো পায়নি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। দেশের কল্যাণে সমালোচনা করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের ক্ষতি হয় এমন কোনো সমালোচনা করবেন না।
শেখ হাসিনা বলেন, লেখায় মত প্রকাশের স্বাধীনতা আওয়ামী লীগ সরকারই দিয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা থাকবেই তবে তা গঠনমূলক হতে হবে। সমালোচনা হতে হবে দেশের কল্যাণে, ক্ষতি করতে নয়। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন সংবাদ পরিবেশনে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান সরকার প্রধান।
আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার সময় দেশে হাতেগোনা কয়েকটি সংবাদপত্র ছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, অবাধে সংবাদ যাতে প্রকাশিত হতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি। প্রথমে তিনটি প্রাইভেট চ্যানেলের অনুমতি দিয়েছি, তারপর এটি বাড়ানো হয়েছে।
সেই সময় অনেকে বাধা দিয়েছিল যে, প্রাইভেটে টিভি চ্যানেল দেওয়া ঠিক হবে কি না? আমি যখনই যে কাজ করেছি সেখানে লক্ষ্য ছিল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। তখন আমি বলেছিলাম, যত বেশি টেলিভিশন দিতে পারব সেখানে সাংবাদিক থেকে শুরু করে বহু ধরনের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সেভাবে আমরা টেলিভিশনটা উন্মুক্ত করে দিই’-বলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি নিজের জন্য চিন্তা করি না। কিন্তু আমি সবার জন্য ভাবি। আপনারা সাংবাদিকরা যদি সরকারি ফ্ল্যাট কিনতে চান। যেগুলো আমরা তৈরি করছি এবং বিক্রি করছি। তাহলে কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করে কিনতে পারবেন। প্রথমে সামান্য কিছু (টাকা) দিলে। বাকিটা কিস্তিতে দেওয়া যাবে। আমরা সেই ব্যবস্থাটা করে দিচ্ছি।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।