দেশের পরিস্থিতিন নিয়ে যা বললেন ম্যাথিউ মিলার

ফারহানা মির্জা | প্রকাশিত: ১ নভেম্বর ২০২৩, ১৩:২৫

ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে আবারও উঠে এসেছে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন পরিস্থিতি প্রসঙ্গ।প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন মন্তব্যে নিয়ে প্রশ্নের প্রতিক্রিয়া এবং আন্দোলনে সংহিসতা বিষয়ে বিএনপি-জামায়াতের উপরে ভিসা স্যাংশন আসতে পারে কিনা, এ বিষয়ে কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

স্থানীয় সময় গেলো মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই ব্রিফিংয়ের বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।

এছাড়া ওয়াশিংটনের এই ব্রিফিংয়ে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সংলাপের প্রসঙ্গও উঠেছে।

এদিকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশকে খুব ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে ও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সেটাই চাই যা বাংলাদেশিরা চায়, বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে বাংলাদেশে সহিংসতার ঘটনাকে খুব গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ম্যাথিউ মিলার।

সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গেলো রাতে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধীদের মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যদি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সংলাপ করেন তবে তিনি অবশ্যই বিরোধী দলের সাথে সংলাপ করবেন। মূলত তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ করতে অস্বীকার করেছেন।

বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সাথে বিরোধী দলগুলোর সংঘর্ষ চলছে। পুলিশের হাতে আজ বিরোধীদলের ২ জন নিহত হয়েছেন এছাড়াও ঢাকায় বিরোধী দলের ২ জন শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রতিদিনই বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক হওয়ার বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন?

এই প্রশ্নের জবাবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, আপনার প্রশ্নের প্রথম অংশের (বাইডেন-ট্রাম্প সংলাপ) জবাবে আমি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আগে যা বলে এসেছি তা ছাড়া আর কোন মন্তব্য করব না। আমরা বিশ্বাস করি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জন করতে (সরকার এবং বিরোধী দলের) সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্নের দ্বিতীয় অংশের জবাবে তিনি বলেন, আমরা জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সহিংসতার ঘটনাগুলোকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। বাংলাদেশের সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের জনগণের সুবিধার জন্য শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার লক্ষ্যে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

আরেক সাংবাদিক বলেন, আমার দুটি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন আছে – বাংলাদেশে বিরোধী দল বিএনপি-জামায়াত জোট সারাদেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে। বিরোধী দল বিএনপি সারাদেশে সড়ক, রেলপথ অবরোধের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, এতে আরও সহিংসতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিএনপি আসন্ন সাধারণ নির্বাচন বানচালের জন্য সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে বলে দেশবাসী মনে করে। পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাংচুর করা হয়েছে। এমন অবস্থায় দায়ীদের বিরুদ্ধে আপনারা ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবেন?

জবাবে মিলার বলেন, আমি আগেও বলেছি, ভিসা বা অন্য কোনও নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেওয়ার আগে আমরা সেটি উল্লেখ করি না বা মন্তব্য করি না। তবে আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনকে সমর্থন করে যাচ্ছি এবং যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনা করা উচিত।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top