দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা,ভোট ৭ জানুয়ারি
ফারহানা মির্জা | প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ১১:০৩
বিরোধী দলের আন্দোলন ও নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সংলাপ আহ্বানের মধ্যেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের তারিখ রেখে গেলো সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণের মাধ্যমে নির্বাচনের এ সূচি ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১-৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ রাখা হয়েছে ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর।
তফসিল ঘোষণার আগে গেলো দিন বিকাল ৫টায় সিইসির কক্ষে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে কমিশন। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে কাজী হাবিবুল আউয়াল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
সিইসির সেই ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। পরে ইসি সচিব ও কমিশনের মুখপাত্র মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের সংক্ষিপ্ত ব্রিফ করেন। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারণার জন্য ২২ দিন সময় রাখা হয়েছে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নতুন রাজনৈতিক দল এবং আগ্রহী দেশী ও বিদেশী পর্যবেক্ষকদের নিবন্ধন প্রক্রিয়াও সমাপ্তপ্রায়। দেশে মোট ভোটার প্রায় ১১ কোটি ৯৭ লাখ, ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজারের মতো। ২ লাখ ৬২ হাজার বুথে ভোট গ্রহণ করা হবে। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি ৩০০ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ভোটের জন্য ৬৬ রিটার্নিং অফিসার ও ৫৯২ সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে ৬-১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে।’
সিইসি বলেন, ‘সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের বিধানমতে, ৩০০ সাধারণ আসন ও ৫০টি সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত নারী সদস্যদের নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত হয়। সংসদের মেয়াদ পূর্তির পূর্ববর্তী ৯০ দিবসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা সংবলিত এ নির্দেশনা নির্বাচন কমিশন সরকারের নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সহায়তা নিয়ে সম্পন্ন করে থাকে।
সরকার আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি বারবার ব্যক্ত করেছে। কমিশনও তার আয়ত্তে থাকা সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে এবং সরকার থেকে আবশ্যক সব সহায়তা নিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করার বিষয়ে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করবে।’
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।