বিএনপি এলে ভোটের তারিখ পেছানোর বিষয়ে ভাববে ইসি

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:৫১

ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে না আসা দলগুলোকে নতুন বার্তা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেছেন, নির্বাচনে এখনো যে সকল রাজনৈতিক দল আসেনি তারা যদি আসতে চায় তাহলে আইন মেনে তাদের নির্বাচনে আসার পথ তৈরি করা হবে। সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

রাশেদা সুলতানা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও আমরা চাই, নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করুক। সবাই আসুক, একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হোক। যতক্ষণ পর্যন্ত সুযোগ আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা চাই; সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন হোক।

নির্বাচনে বিএনপির আসা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, বিএনপি যদি আসতে চায়; আমরা তখন সিদ্ধান্ত নেবো। তারা যদি আসে; আমরা বিবেচনা করব৷ আমরা চাই সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।

রাশেদা সুলতানা বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা (বিএনপি) কিন্তু অংশগ্রহণ করেছিল। সে সময় তাদের জন্য স্পেস তৈরি করা হয়েছিল। এবারও সে সুযোগ থাকবে। তারা কবে আসতে চায়, কখন আসতে চায়, সেই পরিস্থিতি বুঝে আইন অনুসারে তাদের স্পেস করে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, যদি কোনো দল সঠিক সময়ের মধ্যে না আসে তাহলে আমাদের আর কোনো কিছু করার থাকবে না। রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হয়ে যাবে প্রত্যাশা করে রাশেদা সুলতানা বলেন, যখন বিভাজন তৈরি হয়েছে তখন রাজনৈতিক মাঠ অশান্ত আছে, সেটা আপনারাই (সাংবাদিক) দেখতে পাচ্ছেন। তবে রাজনৈতিক দলগুলো চাইলে পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক হওয়া সম্ভব। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে উদ্যোগ নেওয়ার সাংবিধানিকভাবে ইসির কোনো সুযোগ নাই।

গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই চলবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

মনোনয়নপত্র বাতিল হলে রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরানোর দাবিতে ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়েও বিএনপি দ্বিধায় ছিল। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে তাদের আলোচনা হয়। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে নতুন জোট গড়ে বিএনপি ভোটে অংশ নেয়। ঐক্যফ্রন্টের অনুরোধে মনোনয়নপত্র জমার সময় বাড়িয়ে ২৩ ডিসেম্বরের ভোট পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর করা হয় সেবার।

কিন্তু নির্বাচনে ভরাডুবির পর বিএনপি অভিযোগ তোলে, ভোট হয়ে গেছে ‘আগের রাতেই’। শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি রাখেননি বলেও অভিযোগ করে দলটি। এবার তারা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পুরনো দাবিতে ফিরে গেছে।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top