• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


সারাদেশে বিএনপি ও সমমনাদের মানববন্ধন আজ

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:১২

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রোববার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকাসহ সারাদেশের জেলা সদরে গুম-খুন হওয়া পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানববন্ধন করবে বিএনপি। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, বিএনপির পরবর্তী কর্মসূচি আগামী ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে। সেদিন গুম ও খুনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সমন্বয়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। ঢাকা মহানগরসহ দেশের সকল জেলা সদরে এ কর্মসূচি পালিত হবে।

রিজভী বলেন, ঢাকায় মানববন্ধন হবে বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। এই বিষয়ে ঢাকা মহানগর বিএনপি সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং ঢাকার বাইরের জেলাসমূহে মানববন্ধনে সফল করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শনিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার হিসাব অনুযায়ী দেড় দশকে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ৬৪৭ জন গুম হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৮৪ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।

৩৯৯ জনকে জীবিত ফেরত পাওয়া গেছে অথবা গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ১৬১ জনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলী ও সাইফুল ইসলাম হিরু, কাউন্সিলর চৌধুরী আলম, হুমায়ুন পারভেজসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল নেতা রয়েছেন।

তবে বিএনপির হিসাবে প্রকৃত সংখ্যা তিন থেকে চার গুণ বেশি। কারণ এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে কেবল গুম হয়ে যাওয়া পরিবারের তথ্যের ভিত্তিতে। অনেক পরিবার তথ্য দেওয়ার সাহস পায়নি। রিজভী আরও বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে দলের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

এদিকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকা সংশ্লিষ্ট নেতারা এই মানববন্ধন কর্মসূচিকে বিশেষভাবে দেখছেন। তারা বলছেন, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে দলীয় মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর গ্রেপ্তার আতংকে আত্মগোপনে থাকা নেতা-কর্মীদের আবারও রাজপথে একত্রিত করার সুযোগ এসেছে বিএনপির জন্য। তবে মানববন্ধনে কোন কোন কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকছেন, বিএনপির পক্ষ থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।

বিরোধী দলগুলোর একাধিক নেতা বলেছেন, বিরোধীদলগুলোর রবিবারের মানববন্ধনে সরকারের আচরণের ওপর নির্ভর করবে সরকার পতনের আন্দোলনে পরবর্তী কী কর্মসূচি আসতে পারে।

গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আগামীকাল বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলো যে কর্মসূচি দিয়েছে, সেখানে আমরা সরকারের আচরণ দেখবো। যদি কোনও বাধা আসে, তাহলে আমাদের একভাবে চিন্তা করতে হবে। যদি তারা নমনীয় হয় তাহলে আরেকভাবে আমরা আমাদের কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যাবো।

এক্ষেত্রে কী ধরনের কর্মসূচি আসতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি বাধা না আসে আমরা চেষ্টা করবো নতুন করে সভা সমাবেশের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে আবারও আন্দোলনকে বেগবান করতে। আর যদি বাধা আসে তাহলে আমরা যে অবরোধ হরতাল কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছি তাই করবো।

তবে বিএনপি সূত্র বলছে, রোববারের মানববন্ধন কেবলই ১০ ডিসেম্বরের মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক কর্মসূচি। এর সঙ্গে সরকার পতন বা অন্য কোন কিছুর সম্পর্ক দেখছে না দলটি।

বিএনপি মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবসটি জাতিসংঘের থেকে বিশ্বের সব দেশেই প্রতিবছর পালন হয়ে আসছে। তাই বিএনপি থেকেও এই দিবসটি পালন করা হয়। এছাড়া আমাদের দলের নেতাকর্মীরাও নানান ভেবে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। ফলে এই দিবসটি আমাদের জন্য অর্থবহ।’

গত ২৮ অক্টোবরে পর গত ৪২ দিন ধরে বড় জমায়েতে কোথাও কোনও কর্মসূচি পালন করেনি। এর মাঝে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, দ্বাদশ নির্বাচনি তফসিল বাতিল, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে গত ২৯ অক্টোবর থেকে ১০ দফায় ২০ দিন অবরোধ এবং তিন দফায় চার দিন হরতাল কর্মসূচি করেছে বিএনপিসহ অনান্য বিরোধীদলগুলো।

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top