নির্বাচন করতে পারছেন না শাম্মী - সাদিক

ফারহানা মির্জা | প্রকাশিত: ২ জানুয়ারী ২০২৪, ১৪:২০

ছবি : সংগৃহীত

বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ। এদিকে আবার বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহমেদের প্রার্থিতার বিষয়ে চেম্বার আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশ চলমান থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগে একই বেঞ্চ। ফলে তারা দু’জন নির্বাচন করতে পারছেন না।

আজ মঙ্গলবার ২ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।দ্বৈত নাগরিকত্ব, খেলাপি ঋণ, ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনে গরমিলসহ বিভিন্ন কারণে তাদের প্রার্থিতা বাতিল হয়।

বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ ফারুক।গেলো ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচন ভবনে আপিল শুনানি শেষে বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সিটির সাবেক মেয়র সাদিকের প্রার্থিতা বাতিল করে ইসি। পরে এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।

রিটের শুনানি নিয়ে ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট ইসির আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। ফলে তার মনোয়নপত্র বৈধতা পায়।

পরদিন হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছেন জাহিদ। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। ফলে সাদিকের নির্বাচন আটকে যায়। পরে তিনি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন।

অন্যদিকে বরিশাল-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী শাম্মী আহমেদ এবং একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথ পরস্পরের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেছিলেন ইসিতে। শাম্মী অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হলেও তা গোপন করেছেন বলে অভিযোগ ছিল পঙ্কজের।

নির্বাচন কমিশন বর্ণিত আপিলকারীর দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কে তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের সহায়তায় সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা দেয়। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের সহায়তায় শাম্মীর অস্ট্রেলিয়ার দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে জরুরি ভিত্তিতে ১৪ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠানো হয়। ১৫ ডিসেম্বর তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। আর একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজের প্রার্থিতা বহাল রাখে।

পরে শাম্মী হাইকোর্টে রিট করেন। যেটি ১৭ ডিসেম্বর সোমবার খারিজ হয়ে যায়। পরদিন তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন। শুনানি শেষে চেম্বার আদালত ‘নো অর্ডার’র আদেশ দেন। ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থেকে যায়। আর নির্বাচনের সুযোগ থাকছে না তার। এরপর ফের আবেদন করেন শাম্মী।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top