মালিকানা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দস্যুরা কীভাবে যোগাযোগ করে?
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:০১
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুর কবলে পড়েছে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। জাহাজটি কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে দুবাইয়ের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় জাহাজটিতে ২৩জন ক্রু ছিলেন। চলুন জেনে আসি, দস্যুরা কিভাবে জাহাজ আক্রমন করে।
পণ্যবোঝাই জাহাজগুলো সাধারণত আর্ন্তজাতিক নৌরুটে ধীরে চলে। এমভি আবদুল্লাহর মতো আকারের (১৯০ মিটার) জাহাজগুলোতে ৩০ থেকে ৪০ টন পণ্য বোঝাই থাকে। বেশি পণ্য বোঝাই থাকায় বেশির ভাগ জাহাজের গতি থাকে ১৮ থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল।
আর জলদস্যুরা যখন কোনো জাহাজকে টার্গেট করে তখন তারা ছোট ছোট বোট অস্ত্র নিয়ে তিন-চারদিক থেকে আক্রমণ করে। গতি কম থাকায় জলদস্যুদের সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যায়।
জাহাজের সাবেক ক্যাপ্টেন ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, জলদস্যুরা যখন জাহাজ দখলে নিতে আসে তখন তাদের কাছে হুক থাকে, অস্ত্র থাকে, টেলিস্কোপ ও ল্যাডার থাকে। তিন চারদিক থেকে ত্রিশ চল্লিশজন অস্ত্রসহ এসে জাহাজে উঠে পড়ে।
তিনি বলেন, ওঠার পরই তাদের কেউ জাহাজের ইঞ্জিন রুমে, কেউ লোকদের জিম্মি করে। কেউ জাহাজ স্লো ডাউন করে। কখনও জাহাজের ইঞ্জিনও বন্ধ করে দেয়।
সাবেক এই ক্যাপ্টেন জানান, জলদস্যুরা সাধারণত জাহাজে ওঠার পরই যোগাযোগের সব পথ বন্ধ করে দেয়। এরপর তারা ডাকাতি শুরু করে। যাদের কাছে টাকাপয়সা কিংবা অন্য দামী জিনিসপত্র থাকে সেগুলো নিয়ে নেয়। মোবাইল নিয়ে নেয়। বহির্বিশ্বের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় ।
তিনি আরও জানান, এরপর জাহাজে থাকা ক্রুদের সাহায্যে জলদস্যুরা তাদের নিয়ন্ত্রিত এরিয়ার কাছাকাছি যে কোনো একটি পোর্টে নিয়ে যায়। সেখানে নোঙ্গর করে দুয়েকদিন পর গিয়ে তারা মুক্তিপণ দাবি করে। এই মুক্তিপণ দাবি করা হয় মালিক কোম্পানির কাছে।
ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, প্রত্যেকটা জাহাজেই মালিকানা প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য থাকে। কার সাথে যোগাযোগ করবে, তার নাম নম্বর, সিকিউরিটি অফিসার যে থাকে তার নাম ও নম্বর লেখা থাকে জাহাজে। প্রত্যেকটি জাহাজে স্যাটেলাইট ফোন আছে। সেটা দিয়ে তারা মালিককে ফোন দেয়।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।