সাদিক অ্যাগ্রোর অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিলো ডিএনসিসি

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২৪, ১৫:৫৮

ছবি: সংগৃহীত

মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার সাদিক অ্যাগ্রোতে অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। অভিযানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সাদিক অ্যাগ্রোর দখল করা অবৈধ অংশ। অভিযানের কারণে খাল ও সড়কের জায়গায় অবৈধভাবে দখল করে রাখা অস্থায়ী কিছু স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছে সাদিক অ্যাগ্রোর লোকজন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খাল ও সড়কের জায়গা দখল করে রাখায় অভিযান শুরু করেন ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত। খামারের পশ্চিম অংশে অফিস ভাঙার মাধ্যমে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান। অভিযানে ডিএনসিসির এক্সেভেটর ও বুলডুজারসহ বিশেষ যান দিয়ে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

অভিযানের শুরুতেই খালের অংশে দখলে থাকা অস্থায়ী স্থাপনাগুলো গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সাদিক অ্যাগ্রো ছাড়াও বেশ কিছু অস্থায়ী স্থাপনা এখানে গড়ে উঠেছিল, সেগুলোও উচ্ছেদ করছে ডিএনসিসি। মূলত খালের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছিল সাদিক অ্যাগ্রোর খামার। পাশাপাশি সড়কের জায়গাও দখল করেছে তারা। মূলত সেই কারণে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে ডিএনসিসি।

অভিযান প্রসঙ্গে ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, খাল ও সড়কের জায়গা উদ্ধারে আমরা অভিযান শুরু করেছি। এর আগে বেশ কয়েকবার তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তারা আমলে নেয়নি। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

এর আগে বুধবার (২৬ জুন) সাদিক এগ্রোতে অভিযান চালাতে প্রয়োজনীয় পুলিশ ফোর্স মোতায়েন চেয়ে ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগ থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম স্বাক্ষরিত ওই চিঠি ডিএমপিকে দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা উত্তর সিটির আওতাধীন অঞ্চল-৫–এর অন্তর্ভুক্ত মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন আশপাশের অবৈধ স্থাপনাসহ খাল ও সড়কের জায়গায় সাদিক এগ্রো লিমিটেডের অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা অপসারণ করা হবে। বৃহস্পতিবার সকালে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। এ সময় তিন প্লাটুন পুরুষ পুলিশ ফোর্স ও এক প্লাটুন নারী পুলিশ ফোর্স প্রয়োজন হবে।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে ঢাকা উত্তর সিটির অঞ্চল-৫–এর এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে, তারা (সাদিক এগ্রো) রামচন্দ্রপুর খালের জায়গা ভরাট করে খামার করেছে। এর আগেও তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু খামার কর্তৃপক্ষ এসব কোনো বিষয়ে তোয়াক্কা করেনি।

সাদিক অ্যাগ্রোর জায়গার একাংশ আব্দুর রশীদ তালুকদার নামে এক ব্যক্তির বলে দাবি করেন তার ভাই আব্দুল আলীম তালুকদার। তিনি বলেন, এখানে সাদিক অ্যাগ্রোর কোনো জায়গা নেই, তারা ভাড়াটিয়া। ১০ বছর আগে তাদের জায়গা ভাড়া দিয়েছি।

আব্দুল আলীম তালুকদার বলেন, কয়েক বছর আগেও ডিসি অফিস, ভূমি অফিস, পানি উন্নয়ন বোর্ডও এই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। তখন আমাদের সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এর মধ্যে আমার সাড়ে চার শতক। মাসে ২৫ হাজার টাকা ভাড়া দেয়।

ডিএনসিসি সূত্র জানায়, সাদিক অ্যাগ্রো অবৈধভাবে খাল ও সড়কের জায়গা দখল করে আছে। তাই সাদিক অ্যাগ্রোকে উচ্ছেদ করতে বুধবার (২৬ জুন) প্রয়োজনীয় পুলিশ ফোর্স মোতায়েন চেয়ে ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগ থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে এক চিঠি দেওয়া হয়। ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম এই চিঠিতে সই করেন।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top