অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে যাদের নাম আলোচনায় এলো
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৮ আগষ্ট ২০২৪, ২১:৩১
কিছু সময় পর (বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায়) ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হতে যাচ্ছে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার। এই সরকারে কারা থাকছেন তা নিয়ে গত দুদিন ধরে জনমনে কৌতূহলের শেষ নেই। অবশেষে আজ (বৃহস্পতিবার) একটু আগে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সেই ১৫ সদস্যের নাম প্রকাশ্যে এসেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে শপথ নেবেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথ পাঠ করাবেন।
অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের আকার কেমন হতে পারে, সে সম্পর্কে গতকাল বুধবার সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সেনা সদর দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সদস্য সংখ্যা হতে পারে ১৫ জনের মতো। দুয়েকজন বেশিও হতে পারে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সদস্যদের জন্য আজ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সামনে পার্কিং জোনে রাখা হয় ২১টি গাড়ি।
এর মধ্যে একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি ৷ বিএমডব্লিউ গাড়িটি প্রধান উপদেষ্টার জন্য বরাদ্ধ। শপথ নেয়ার পর রাজধানীর রমনা এলাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উঠবেন ড. ইউনূস। দায়িত্ব পালনকালে তিনি সেখানেই থাকবেন। এ জন্য যমুনা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
আলোচনায় যাদের নামঃ
ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন এই অন্তর্র্বতীকালীন সরকারে যাদের নাম আলোচনায় আসছে, তারা হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল, মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান, অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এএফ হাসান আরিফ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহফুজুর রহমান, গৌতম দেওয়ান (ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী), সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ধীরাজ মালাকার (মুক্তিযোদ্ধা ও সংখ্যালঘু) এবং আলেম সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে আ ফ ম খালিদ হাসান।
অন্তর্র্বতীকালীন সরকারে কারা থাকবেন, তার একটি ধারণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। তিনি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি, শিক্ষক, ছাত্র প্রতিনিধি, সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও আলেম সমাজের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করেই গঠিত হবে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার।’
এর আগে, বিভিন্ন মাধ্যমে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধানসহ যাদের নাম বিভিন্নভাবে আলোচনায় আসে তারা হলেন;
অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এই সরকারে আরও যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী, বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ইকরামুল হক, সাবেক পরিবেশ সচিব ড. মাহফুজুল হক, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিস ট্রাস্টের সাবেক পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন, সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা, বিজিবির সাবেক ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মঈনুল ইসলাম, নিউএইজ এর সম্পাদক নুরুল কবির, সাবেক সচিব ফজলুল কবির খান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) গোলাম হেলাল মোরশেদ খান, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সাবেক ভিসি অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, আইনজীবী শাহদীন মালিক, অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার শাহা এবং চাকমা সার্কেলের প্রধান পরামর্শক কুইন ইয়ান ইয়ান।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।