ঘুষের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন সমন্বয়ক হাসনাত ও সারজিস

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ১৮ আগষ্ট ২০২৪, ১৫:০৭

ছবি: সংগৃহীত

আজকের পর থেকে সকল প্রতিষ্ঠানে ঘুষের কবর রচিত হলো বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস। ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ কথা জানান তাঁরা।

ঘুষের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। দেশের সরকারি বা বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে ঘুষ চাইলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘আজকের পর থেকে সরকারি বা বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে ঘুষের কবর রচিত হলো। যে প্রতিষ্ঠান ঘুষ চাইবে, সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। উন্নয়নের নামে হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। কিন্তু স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা আর হাসপাতালে চলতে দেওয়া হবে না। রাজনৈতিক বলয় ও লালফিতার দৌরাত্ম্য শেষ করা হবে।

হাসনাত আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীরা স্পেশালাইসড কেয়ার ইউনিটের আওতায় বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন। সেই সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও বিনা খরচে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।

সরকার পতনের পর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে দুর্নীতি এবং ঘুস বন্ধ মনিটরিং করছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের যুক্ত শিক্ষার্থীরা। আজ থেকে সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে ঘুস বাণিজ্য বন্ধ বলে মন্তব্য করেছেন প্ল্যাটফর্মটির অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

যে সব প্রতিষ্ঠান সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে ঘুস দাবি করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিন তিনি। 

অর্থনৈতিক লুটপাট, অর্থপাচার ও দুর্নীতিবাজদের লাগাম টেনে ধরার দাবি বহুদিনের। কিন্তু গুটিকয়েক ব্যক্তিকে আটক করে বরাবরই প্রশ্রয় পেয়েছেন রাঘব বোয়ালরা।  

দীর্ঘদিন গেঁড়ে বসা সরকার পতনের পর মানুষের প্রত্যাশা, দ্রুত বন্ধ হবে দুর্নীতি। নিশ্চিত হবে সুশাসন। প্রশাসনিক খাত থেকে শুরু করে সব ধরনের সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোতে হয়রানির শেষ দেখতে চায় সাধারণ মানুষ।  

দুর্নীতির বিরুদ্ধে নজর রাখতে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোর দিকে নিশানা করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম।  

সারজিস ফেসবুকে লিখেন, ‘অল আইস অন... (দুর্নীতির আখড়া) দুদক, ওয়াসা, রাজউক, পল্লীবিদ্যুৎ, পেট্রোবাংলা....আর?’

সমন্বয়ক পরিচয়ে কেউ চাঁদা বা বিশেষ সুবিধা চাইলে তাদের ধরে পুলিশে হাতে ধরিয়ে দিতে আহ্বান জানান সমন্বয়করা।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top